হুয়াওয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার পর থেকেই তাদের ব্যবসার মূল কেন্দ্রস্থল অনেকটা চীনকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে ২০২১ সালে ৪ শতাংশ শেয়ার হারাতে বসেছে হুয়াওয়ে। যদিও বর্তমানে চীনা স্মার্টফোন বাজারের বিশাল একটা শেয়ারের দখল রয়েছে হুয়াওয়ের অধীনে। অপরদিকে হুয়াওয়ের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডগুলো পুরো বিশ্বজুড়ে ব্যবসা পরিচালনা করলেও গ্লোবাল মার্কেটে হুয়াওয়ের দূরঅবস্থা দেখে তারাও এবার নিজেদের মার্কেট স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন আনছে।
যেকারনে শাওমি সহ অন্যান্য স্মার্টফোন ম্যানুফাকচারাররা চীনের মার্কেটকে নজরে রেখে জোটবদ্ধভাবে মার্কেটে শেয়ার দখলের জন্য নেমেছে। তাইওয়ানভিত্তিক পিসিবি সাপ্লাই চেইন তথ্য অনুসারে ডিজিটাইমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শাওমিসহ চীনের শীর্ষ স্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় আরো আক্রমনাত্মকভাবে নিজেদের মার্কেটিং অর্ডার প্লেসমেন্ট করছে। এই ধারা আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে শাওমি সবচাইতে বেশি পিসিবি শিপমেন্ট করছে টেক জায়ান্ট অপ্পো এবং ভিভোর তুলনায়। তাছাড়া চীনে হুয়াওয়ের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এই ব্র্যান্ডগুলো অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে শাওমি যেমন রেকর্ড শিপমেন্ট করেছে, তেমনই ভাবে প্রায় ৩৫ শতাংশ লাভের মুখও দেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া দেশের বাইরেও শাওমির ইতিবাচক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখছে এবং আগামীতেও থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে পরিসংখ্যান বলছে, শাওমির স্মার্টফোন শিপমেন্ট চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১০০ মিলিয়ন ইউনিটে ছাড়াবে, তাছাড়া অপ্পো ও ভিভোর শিপমেন্টও একই সময়ে ৭০ থেকে ৯০ মিলিয়নে পৌঁছাবে। তবে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন শিপমেন্ট এই সময়ে নিচে নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।