সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহারে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে না। ‘টেকনোলজি, মাইন্ড অ্যান্ড বিহেভিয়র’ নামক জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই নয়া গবেষণার তথ্য।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর কোনও ব্যক্তির দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা, হতাশা, অবসাদ কিংবা চাপ নির্ভর করে না।
বিষয়টি পরীক্ষার জন্য মোট ১৯৯ জন আইফোন ইউজার এবং ৪৬ জন অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। তারা একটি সপ্তাহে স্মার্টফোনে মোট কতটা সময় কাটাচ্ছে তার হিসেব করা হয়। একইসঙ্গে তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ কি না, তা জিজ্ঞেস করা হয়। দুশ্চিতা কিংবা অবসাদে ভোগেন কি না, সে পরীক্ষাও করা হয়। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় কি না, হলে কী ধরনের সমস্যা হয়, তাও জেনে নেন গবেষকরা।
দীর্ঘ পরীক্ষানিরীক্ষার পর ব্রিটেনের গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে স্মার্টফোন ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব ফেলে না।
স্মার্টফোন ব্যবহার মানসিক চাপ তৈরি করে, একথা তাহলে কেন বলা হয়? গবেষকদের মতে, আসলে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন। এতক্ষণ ব্যবহার করা হচ্ছে- এই ভাবনা থেকেই আসে দুশ্চিন্তা। তারা আরও জানান, একজন প্রাপ্তবয়স্ক যদি মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় কমিয়ে দেন, তাহলে তিনি মানসিকভাবে বেশি খুশি বা চাপমুক্ত থাকবেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।