ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-কে ‘বেস্ট ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অব ২০২০’ হিসেবে পুরস্কৃত করেছে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ‘বিজনেস ট্যাবলয়েড’।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিজনেস ট্যাবলয়েড প্রতি বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে পুরস্কৃত করে থাকে। নিখরচার এই পুরস্কার কোম্পানির আকার, অবস্থান এবং মালিকানা নির্বিশেষে বিশ্বের সমস্ত সংস্থার জন্য উন্মুক্ত। এক দল গবেষক ও ম্যাগাজিনটির সম্পাদকীয় দলের একটি কমিটি দ্বারা মূল্যায়িতি হয়ে পুরস্কারের জন্য যেকোনো কোম্পানি মনোনীত হতে পারে। মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানদণ্ড যেমন উদ্ভাবন, কৃতিত্ব এবং অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিজনেস ট্যাবলয়েডের এই স্বীকৃতি সম্পর্কে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘পুরস্কারটি পেয়ে অবশ্যই আমরা আনন্দিত। এই পুরস্কারকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের বৃহত্তর উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করছি। এটাও আমাদের জন্য গর্বের যে বিজনেস ট্যাবলয়েডের মতো ব্যবসা-বাণিজ্য নির্ভর ম্যাগাজিন আমাদের সম্পর্কে খোঁজখরর করেছে এবং ‘নগদ’-কে বিজয়ীর তালিকায় রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘নগদ’-এর সেবা চালু হওয়ার পর থেকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কাজ করে চলেছি এবং এই পুরস্কারটিও আমাদের নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা অগণিত মানুষকে ‘নগদ’ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে আনতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তা নিঃসন্দেহে দেশের সেরা এবং বিশ্বের সর্বাধুনিক।
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, ‘বিজনেস ট্যাবলয়েড ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘নগদ’-কে সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে যা আমাদের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সাক্ষ্য দেয়। আমি বিশ্বাস করি যে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিগুলো ‘নগদ’-কে দেশের মানুষের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং একটি ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যও দেশকে এগিয়ে নেবে।’
এরই মধ্যে দেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মর্যাদা পাওয়া ‘নগদ’ গত অক্টোবর মাসে বিশ্বখ্যাত ইনক্লুসিভ ফিনটেক ৫০-এর কাছ থেকে বিশ্বসেরা ফিনটেক স্টার্টআপ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নভেম্বরে তথ্য প্রযুক্তি খাতের অলিম্পিকখ্যাত উইটসা ‘নগদ’-কে ডিজিটাল অপরচুনিটি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।
শুরু থেকেই, ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অত্যাধুনিক ডিজিটাল কেওয়াইসি’র ব্যবহার শুরু করে। মোবাইল ফোন থেকে যে কেউ এখন কেবল *১৬৭# ডায়াল করে তথ্য যাচাই করে মুহূর্তে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন। তাছাড়া ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট নেই এমন নম্বরে টাকা পাঠানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ‘নগদ’। এসব উদ্ভাবন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোও একই সেবা চালু করেছে যা সামগ্রিকভাবে এমএফএস খাতকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
২০১৯ সালের মার্চে চালু হওয়া ‘নগদ’ ইতিমধ্যে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মর্যাদা পেয়েছে। ‘নগদ’-এ এখন আড়াই কোটি সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে যা দেশের এমএফএস ব্যবহারকারীদের ৩০ শতাংশ। নামমাত্র খরচের এমএফএস সেবা হিসেবে ‘নগদ’ ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ‘নগদ’ থেকে সেন্ড মানি একেবারেই ফ্রি যা অন্য অপারেটরে প্রতি লেনদেনে ৫ টাকা। তাছাড়া ক্যাশ-আউটের ক্ষেত্রে এক হাজার টাকায় চার্জ মাত্র ৯.৯৯ টাকা, যা ভ্যাটসহ ১১ টাকা ৪৯ পয়সা (অ্যাপ)। এর আগে কোভিডের শুরুতে ‘নগদ’ দেশের পাঁচ ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাজারে মাত্র ৬ টাকা খরচে ক্যাশ-আউট করার সুযোগ দিয়েছে।