আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরতে সোশ্যালি ডিসট্যান্সড, ডিজিটালি কানেকটেড‘ প্রতিপাদ্য নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যম এবং ভৌত কাঠামোর সংমিশ্রণে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে `ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০।
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০ উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ১০ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের মাননীয় মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফেরেন্স। কনফারেন্সে মূল বক্তা হিসেবে কি-নোট উপস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
তৃতীয় দিন ১১ ডিসেম্বরে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকবে ‘‘Inclusive Development’’ বিষয়ে একটি বিশেষ সেমিনার যেখানে উপস্থিত থাকবেন WHO-র Mental Health বিষয়ক Expert Advisory Panel- এর সদস্য এবং অটিজম বিষয়ক National Advisory কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ। একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় সমাপনী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য ১২টি ক্যাটাগরিতে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সম্মাননা প্রদান করা হবে।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে আরোও থাকছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভার্চুয়াল মুজিব কর্নার। মিউজিক্যাল কনসার্ট সবসময় একটি আকর্ষণীয় বিষয়। ভিন্ন স্বাদের এ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি সন্ধ্যায় থাকবে মিউজিক্যাল কনসার্ট। ভার্চুয়াল প্রোডাকশন এর মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর পরিবেশনায় এক অভূতপূর্ব সঙ্গীত আয়োজনের স্বাদ পাবেন দর্শনার্থীরা এ কনসার্টে।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে অংশগ্রহণের জন্য www.digitalworld.org.bd এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার পর ভার্চুয়াল ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড দেখতে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এই অ্যাপে যখন লাইভ করা হবে তখন রেজিস্টার্ড দর্শনার্থীর কাছে মেসেজ আসবে। অ্যাপ ডাউনলোড সম্পন্ন হলে এর মাধ্যমে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০-র প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যাবে এবং সেমিনার ও কনসার্টে অংশগ্রহণ করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে বিশ্বের সাথে স্যাটেলাইট যুগে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেছিলেন। এর ৪৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যার ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজেদের স্থান করে নেয়।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণার ১১ বছর পর বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বের ধনী-দরিদ্র, উন্নত-অনুন্নত সকল রাষ্ট্র যখন একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গুলোও পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হিমসীম খাচ্ছে, ঠিক সে সময় বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরবরাহ ব্যবস্থা ও বিচারিক কাজসহ সবকিছু চলমান সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন বিগত সময়ে দেশে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।
পরে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব বক্তব্য রাখেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।