অবৈধ মুঠোফোন শনাক্ত ও বন্ধে নেয়া ন্যাশনাল ইকুপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার-প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের অন্যতম বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে । র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস নামে এই বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতীতে জালিয়াতি করে প্রকল্পের অর্থ হাতিয়ে নেয়া টেন্ডার জালিয়াতিসহ বেশি কিছু অভিযোগ রয়েছে। দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এইধরনের কাজে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান করলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হুমকির মুখে পারতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নামের এই ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত বৃহস্পতিবার সিনেসিস আইটির দরপত্র জেতার নির্দেশনা (নোটিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড) জারি করা হয়। রিভ সিস্টেম, ডেটাএজ, ডিজিকন টেকনোলজিস ও সিনেসিস আইটি—এ চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিনেসিস আইটি কাজটি পায়।
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর অবৈধ মুঠোফোন শনাক্ত ও বন্ধে সিনেসিস আইটি লিমিটেডের সাথে চুক্তি করে বিটিআরসি। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও কারিগরি সেবা দিতে র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস ও কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড নামের আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করেছে সিনেসিস আইটি।
৩০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিসকে সম্পৃক্ত করায় প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৮ সালে র্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেডের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রকল্পর শর্ত ভঙ্গ করে একই প্রশিক্ষণার্থী ভিন্ন ভিন্ন ব্যাচে দেখানো, এমনকি প্রশিক্ষণার্থীদের আয়ের প্রকৃত তথ্যও গোপন করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ মেলে। ফলে গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিতর্কিত এই প্রতিষ্ঠান কতটা সক্ষম হবে তা নিয়ে সংশয়ে প্রযুক্তিবিদরা।
দেশের বেশকিছু প্রযুক্তিবিদ জানান , এখানে অনেক ডাটার বিষয়ে রয়েছে; সেগুলো চুরি হয়ে বা ফাঁস হয়ে গেলে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোনো কারণে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হলে আর্থিকসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন গ্রাহক।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, অনিয়ম করে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।