তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান সরকার ১৪০০ এর অধিক ডিজিটাল সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। বর্তমানে ৬ হাজার ডিজিটাল ডেলিভারি সেন্টারের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৬ মিলিয়ন মানুষ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কম সময়ে, কম খরচে এবং হয়রানি মুক্তভাবে দ্রুততার সাথে গুণগত মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্টার্টআপদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে আয়োজিত “আইডিয়াথন” প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে দেশের যথাযথ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে এবং জিডিপি গ্রোথ ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিনোদন, সরবরাহ ব্যবস্থাসহ বিচারিক কাজ সচল ছিল। তিনি বলেন মুজিববর্ষে আইসিটি বিভাগ ১০০টি উদ্যোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এর মধ্যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য “আইডিয়াথন” একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
দেশের প্রায় ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ এর নিচে তারাই আমাদের আগামীতে নেতৃত্ব দিবে। তিনি বলেন এই তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ‘লেবার বেইজড্ ইকোনোমি’ থেকে ‘ডিজিটাল ইকোনমিতে’ পরিবর্তন করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।’ প্রতিমন্ত্রী তরুণ প্রজন্মকে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের মেধা ও প্রযুক্তি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আহবান জানান।
আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব টিনা এফ জাবিন, বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
চূড়ান্ত এ প্রতিযোগিতায় ৩০টি দল অংশগ্রহণ করে। বিচারক মন্ডলীর নির্বাচন শেষে সেরা ৫টি স্টার্টআপকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদলগুলো হল- ছবির বাক্স, কৃষিয়ান, চার ছক্কা লিমিটেড, এএনটিটি রোবোটিক্স লিমিটেড ও রক্ষী লিমিটেড।
উল্লেখ্য, বিজয়ী স্টার্টআপরা দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন, ফান্ডিং, আন্তর্জাতিক পেটেন্টসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে। পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।