তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক, অভিন্ন এবং অবিচ্ছেদ্য । বঙ্গবন্ধুকে ভালোভাবে জানতে পারলেই বাংলাদেশকে জানা যাবে।
তিনি বলেন ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু যখন কলকাতা ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন তিনি উপলব্ধি করেছিলেন পাকিস্তানি শাসকদের সাথে আমাদের থাকা সম্ভব নয়। স্বাধীনতার ২৩ বছর আগেই বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শী দৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন করতে হবে। সে দূরদর্শিতা দিয়েই ধাপে ধাপে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জন্য তৈরি করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার” শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটর্ফমে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জনাব পলক বলেন বিগত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে দেশের ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টর ১০ লক্ষ ছেলে-মেয়ে কাজ করছে। ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। করোনা সময় ১০ লক্ষ ই-নতি সম্পূর্ণ হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।এছাড়াও প্রযুক্তির কল্যাণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরবরাহসহ সবকিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডক্টর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চাই । সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রাণশক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উল্লেখ করে তিনি বলেন মুজিব জন্মশত শতবর্ষে আমাদের সকল আয়োজনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সোনার মানুষ তৈরির করা।
জনাব আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন বঙ্গবন্ধু কারিগরি,বৃত্তিমূলক ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সাধারণ জনগণের মাঝে তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দেয়া ও বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা প্রযুক্তি নির্ভর সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যোন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনেআরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক রেজাউল করিম।