আনুষ্ঠানিকভাবে বিখ্যাত ফ্ল্যাশ সফটওয়্যার সমর্থনের ইতি টেনেছে অ্যাডোবি। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরই সফটওয়্যার সমর্থন বন্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, সমর্থন বন্ধ করলেও ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ফ্ল্যাশ কনটেন্ট আটকাবে না অ্যাডোবি। তবে, সফটওয়্যার সমর্থন বন্ধ হওয়ার পরের দিন থেকেই ফ্ল্যাশ কনটেন্ট আটকে দিচ্ছে মূল ব্রাউজারগুলো। আর বেশিরভাগ উইন্ডোজ সংস্করণেই এই কনটেন্ট বন্ধ করবে মাইক্রোসফট।
ওয়েব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ফ্ল্যাশ। এ কারণেই সম্ভবত সফটওয়্যারটির বিদায়ী ঘন্টা বেজেছে এতো দীর্ঘ সময় ধরে। গত দশকের শুরু থেকেই ফ্ল্যাশ সফটওয়্যারকে বাতিল করার পথে হাঁটছে ব্রাউজারগুলো।
কার্যত ফ্ল্যাশের প্রথম বিদায় ঘণ্টা বাজান ২০১০-এর এপ্রিলে সে সময়ের অ্যাপল সিইও স্টিভ জবস। অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ কেন আইওএস প্ল্যাটফর্মে চালানো সম্ভব নয় সে বিষয়ে সহজ ব্যাখ্যা দেন তিনি এবং বলেন ভিডিও কনটেন্টের বেলায় ফ্ল্যাশের চেয়েও ভালো সমাধান আসছে এইচটিএমএল ৫-এ। ওই ঘটনার পর থেকে অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ বিষয়ে বড় কোনো আশা জাগানিয়া ঘোষণা আসেনি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে।
অ্যাডোবি নিজেও ২০১৫ সাল থেকে ডেভেলপারদেরকে এইচটিএমএল৫ ব্যবহার শুরু করতে বলেছে। ফ্ল্যাশের ইতি টানার বিষয়টি পাকাপোক্ত হয় যখন, ২০১৭ সালে অ্যাডোবি এতে সমর্থন বন্ধ করা হতে পারে বলে ঘোষণা দেয়।
অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ সফটওয়্যারকে বিদায় জানালেও ওয়েবের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শনে এর ছাপ থেকে যাবে।
ফ্ল্যাশ গেইম এবং অ্যানিমেশনগুলো মজুদ থাকবে ইন্টারনেট আর্কাইভে। এর মধ্যে ‘পিনাট বাটার জেলি টাইম’-এর মতো জনপ্রিয় গেইমও থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।