স্মার্ট ডিভাইস হ্যাকিংয়ের পর তা দিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে হ্যাকাররা, ফলাফল বাড়িতে পুলিশের অভিযান। এই অভিযান আবার সরাসরি সম্প্রচারও করেছে ওই হ্যাকার চক্র।
যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঘটনায় সতর্ক করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই হ্যাকিংয়ের পর পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপও চালিয়েছে হ্যাকাররা।
পুলিশ বা অন্যান্য জরুরী সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে ভুক্তভোগীর বাড়িতে পাঠিয়েছে হ্যাকাররা। ‘সোয়াটিং’ নামে ডাকা নতুন ঘরানার অপরাধ সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এই অপরাধের ঝুঁকিকে ‘মারাত্মক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এফবিআই।
নিজেদের সতর্কবার্তায় এফবিআই বলেছে, “জরুরী সেবাগুলোতে অপরাধীরা কোনো অপরাধের খবর জানিয়ে কল দেয়।”
“অপরাধীরা ক্যামেরা আর স্পিকারের মাধ্যমে পুরো ঘটনা দেখে আর পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিছু ক্ষেত্রে অপরাধীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে সরাসরি সম্প্রচারেও গিয়েছে।”
তিন বছর আগে কানসাস-এ জিম্মি উদ্ধার নিয়ে করা এক ভুয়া ফোনকলকে কেন্দ্র করে একজনকে গুলি করে বসেছিল পুলিশ। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি এমন ঘটনা থাকলেও সেগুলোতে হতাহতের মতো কিছু ঘটেনি।
আক্রান্ত ওই বাড়ির বাসিন্দারা তাদের স্মার্ট ডিভাইস সেট আপ-এর সময় অন্য কোনো সেবায় দিয়ে রাখা একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিল। আর এ কারণেই এই ‘প্র্যাঙ্ক’ করা সম্ভব হয়েছে বলে ভাষ্য এফবিআইয়ের।
হ্যাকিংয়ের পর পাসওয়ার্ড-এর মতো গোপন তথ্য অবৈধ বাজারগুলোতে প্রায়ই কেনাবেচা হয়ে থাকে। অপরাধীরা কোনো একটা সেবার পাসওয়ার্ড জেনে গেলে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে এমন অন্য সেবাগুলোর অ্যাকসেস নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
স্মার্ট ডোরবেলের মতো বিভিন্ন পণ্যের নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা নেটওয়ার্ক ডিভাইসের পাসওয়ার্ড চুরি করে একই ওয়াই-ফাইয়ের আওতায় থাকা স্মার্ট ডিভাইসগুলোতে অ্যাকসেস নিয়েছে, এমন ঘটনাও ঘটেছে।