তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস প্রোভাইডিং হাব (কেন্দ্রবিন্দু) হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তরুণ মেধাবীদের সে ভাবে তৈরি করা হবে।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইডিয়া ফ্লোর মিলনায়তনে জাতীয় সাইবার ড্রিল-২০২০ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে এর আয়োজন করা হয়।
পলক বলেন, দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। দেশের ব্যাংকিং, হেলথ, সিভিল এভিয়েশনসহ বিভিন্ন সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরে দেশে ১ হাজার সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশের মেধাবী সাইবার নিরাপত্তা কর্মীরা বিশ্বে অবদান রাখার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে বসেই বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখার মতো আগামীতে বিশ্বকে সাইবার ঝুঁকিমুক্ত রাখবে বাংলাদেশ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, ওরাকল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা।
উল্লেখ্য, জাতীয় সাইবার ড্রিল-২০২০ এ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট কোম্পানি থেকে এবং স্বতন্ত্রভাবে ২৩৩টি দলে ১০০০ জনের অধিক অংশগ্রহণ করে।
দলবদ্ধ এই সাইবার ড্রিল প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার অর্জন করে অনিমেষ খাসকেল এর নেতৃত্বে সিলিকনসবিটস, দ্বিতীয় মো. রাসেল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দ্য ইনফিনিটি বাইটস এবং তৃতীয় মো. খতিব আল ফাহাদ এর নেতৃত্বে হেইমডাল।