জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তার নেট আর্থিক সম্পদ ১৮ হাজার পাঁচশ’ কোটি ডলারের ঘর পার করেছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ার দর বেড়ে যাওয়ায় শীর্ষ ধনীর স্থানে উঠে এসেছেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান।
উল্লেখ্য, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাবটি ২০১৭ সাল থেকে ধরে রেখেছিলেন অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস।
এ বছর মাস্কের বিদ্যুত চালিত গাড়ি প্রতিষ্ঠান টেসলার মূল্যমান বেড়েছে। বুধবার ৭০ হাজার কোটি ডলার বাজার মূল্যমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। হিসেবে টয়োটা, ফোকসভাগেন, হিউন্দাই, জিএম এবং ফোর্ডের সম্মিলিত সম্পদও এখন টেসলার তুলনায় কম।
মাস্ক নিজ চিরাচরিত স্বভাবেই খবরটি গ্রহণ করেছেন। টুইটারে এক ব্যবহারকারী মাস্ককে এ খবর জানানোর পর তিনি প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, “কী অদ্ভুত”।
মাস্কের টুইটার প্রোফাইলে পুরোনো এক টুইট পিন করে রাখা হয়েছে। ওই টুইটে মাস্ক ব্যক্তিগত সম্পদের ব্যাপারে নিজস্ব পরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন। তিনি লিখেছেন, “আমার অর্ধেক অর্থ পৃথিবীর সমস্যার জন্য তোলা রয়েছে, বাকি অর্ধেক ব্যয় হবে মঙ্গলে স্বনির্ভর শহর প্রতিষ্ঠার সহায়তায় যা জীবনের গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখবে, যদি পৃথিবীতে ডায়ানোসোরের উল্কা আঘাত হানে বা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের মতো কিছু করে আমরা নিজেদের ধ্বংস করে ফেলি।”
মার্কিন রাজনীতির কারণেও রক্ষা পেয়েছে মাস্কের সম্পদ। আসন্ন মৌসুমে ডেমোক্রেটরা ইউএস সিনেটের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন। এ প্রসঙ্গে ওয়েডবুশ সিকিউরিটিসের বিশ্লেষক ড্যানিয়েল আইভস লিখেছেন, “একটি নীল সিনেট এ খাতের জন্য ভালো, আগামী কয়েক বছরের জন্য নিশ্চিত কিছু সবুজ এজেন্ডাও পরিকল্পনায় রয়েছে।”
গত বছর অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসেরও সম্পদ বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীতে অ্যামাজন আরও দৃঢ়ভাবে অনলাইন স্টোর ও ক্লাউড কম্পিউটিং খাত থেকে লাভবান হয়েছে।
বিবাহবিচ্ছেদে সাবেক স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কটকে ব্যবসায়ের চার শতাংশ দিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি প্রভাব ফেলেছে বেজোসের ব্যক্তিগত সম্পদে। এ কারণেও দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছেন মাস্ক।
এ ছাড়াও নিয়ন্ত্রকদের হুমকির মুখে অ্যামাজনের শেয়ার দর যতোটা বেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, ততোটা বাড়েনি।