চ্যাটিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার দিক থেকে বেশ সুরক্ষিত প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সেই জায়গা থেকে সরে এসেছে ফেসবুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকের তথ্যের এখতিয়ার নিতে একরকমের জোরজবরদস্তি শুরু করেছে অ্যাপটি!
সম্প্রতি পপ-আপ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য নেয়া ও বিনিময়ের সম্মতি চেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের ভাষ্য হলো– কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাকে এই শর্তে সম্মতি দিয়েই সেবা চলমান রাখতে হবে। নাহয় গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট মুছে দেয়া হবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম আর্স টেকনিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, হঠাৎ করেই প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখের মধ্যে নতুন নীতি গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়তে হবে।
এর আগের শর্ত অনুযায়ী, সর্বশেষ ৩০ দিনের তথ্য মালিকানা প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের সঙ্গে বিনিময়ের ব্যাপারে গ্রাহকদের সম্মতি চাওয়া হয়েছিল। তখন বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। নতুন শর্ত অনুযায়ী, গ্রাহক হতে বা থাকতে হলে এই শর্তে অবশ্যই রাজি থাকতে হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের এই একরোখা সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছেন, প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। টেসলা ও স্পেসএক্স-এর প্রধান ইলন মাস্ক ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষায় হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সিগনাল কিংবা টেলিগ্রাম ব্যবহারের আহ্বান জানান।
২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপকে ১৯ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ফেসবুক। এর পরপরই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিতে অ্যাপটিতে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন চালু হয়। কিন্তু নতুন নীতির কারণে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফেসবুক তাদের অধীনে থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাজেও ব্যবহার করতে পারবে।