স্ট্রিমিং, গেমিং ও সাপ্লাই চেইন প্রযুক্তির নতুন যুগের সূচনা করেছে বাহরাইন। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে গেছে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট ফাইভজি। উপসাগরীয় দেশটির ১৫ লাখ জনসংখ্যার সবাই এখন উচ্চগতির পরিষেবাটিতে অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়েছে। বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা আশা করছে, দেশজুড়ে ফাইভজি নেটওয়ার্কের এ বিস্তৃতি মহামারী পরবর্তী যুগে জায়ান্ট প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে আকৃষ্ট করবে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাহরাইনের টেলিকম সেক্টর ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ টানতে সক্ষম হয়েছে। এ আইসিটি খাত এখন দেশটির জিডিপির ৩ শতাংশ সরবরাহ করছে।
দেশটির পরিবহন ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী কামাল বিনি আহমেদ মোহাম্মদ বলেছেন, বাহরাইন কিংডম গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরে বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে নিজের অবস্থান বজায় রাখতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ফাইভজি পরিষেবাগুলোর প্রাপ্যতা ও স্থাপন নিশ্চিতকরণ, পরবর্তী প্রজন্মের আইসিটি পরিষেবাদি যেমন ইন্টারনেট অব থিংস ও মেশিন টু মেশিন যোগাযোগের জন্য প্রস্তুতি বাড়ানো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত যে অর্থনীতির বিকাশ ও বৈচিত্র্যের জন্য কনটেন্ট উন্নয়ন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো উচ্চমূল্যযুক্ত ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের উদ্ভাবন, ব্যবহার এবং চূড়ান্তভাবে রফতানির সম্ভাবনা মূল ভূমিকা রাখবে। বিশেষত পরবর্তী প্রজন্মের পরিষেবাগুলোর নতুনত্বের জন্য তথ্যের দ্রুত অ্যাক্সেস অপরিহার্য। আর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ভোক্তা থেকে ইন্টারনেট উৎপাদকের দিকে চলমান পরিবর্তনে ফাইভজি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
গবেষকদের অনুমান, দেশব্যাপী কাভারেজ অর্জনকারী বিশ্বের প্রথম দেশ বাহরাইনসহ ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি ফাইভজি সংযোগ থাকবে।