বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে এক অন্যতম বৈপ্লবিক উদ্ভাবন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইফোন লাইনআপকে। ২০০৭ সাল থেকে শুরু এখনো পর্যন্ত প্রায় ১২ টি প্রজন্ম পার করেছে আইফোন। প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটি, ফ্ল্যাগশিপ পারফর্মেন্স, হাই-এন্ড অপ্টিমাইজেশন, উন্নত সিকিউরিটি ও সেরা ব্যান্ড ভ্যালু এর কারণে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছেরই চাহিদার শীর্ষে থাকে অ্যাপলের আইফোনগুলো। বিগত বছরগুলোতে শুধুমাত্র ফ্ল্যাগশিপ আইফোন বাজারে আনলেও বছর খানেক ধরে তুলনামূলক সস্তা আইফোনও লঞ্চ করছে অ্যাপল।
ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনায় আইফোনের রেগুলার লাইনআপের পাশাপাশি অ্যাপলের একটি স্পেশাল আইফোন লাইনআপও রয়েছে, যাকে হয়ে থাকে আইফোন স্পেশাল এডিশন কিংবা সংক্ষেপে আইফোন এসই। ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম আইফোন এসই লঞ্চ হওয়ার পর ২০২০ সালে এসে লাইনআপের দ্বিতীয় মেম্বর আইফোন এসই ২ বাজারে আনে অ্যাপল। প্রিমিয়াম আইফোনের তুলনায় কিছুটা কম দামে আইফোন এসই ২ লঞ্চ করা হয়েছিল। আর এতে বেশ ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছে অ্যাপল।
আইফোন এসই ২০২০ এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার হয়তো ২০২১ সালেও SE লাইনআপের তৃতীয় সংস্করণ আইফোন এসই ৩ বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে কোম্পানি। সম্প্রতি জাপানি সংবাদমাধ্যম ‘ম্যাক ওটাকারা’ সর্বপ্রথম এই ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের মতে, অ্যাপলের দ্বিতীয় প্রজন্মের এয়ারপডস এর সাথে লঞ্চ করা হতে পারে আইফোন এসই ২০২১ ডিভাইজটি। তবে অ্যাপলের আপকামিং এই সস্তা আইফোন এর সাম্ভাব্য ফিচার স্পেসিফিকেশন কিংবা ফিচার সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।
উল্লেখ্য, আইফোন এসই স্মার্টফোন এর দাম রেগুলার আইফোন এর থেকে কিছুটা কম হয়ে থাকে। যার ফলে অ্যাপল ফ্যানসদের কাছে SE (স্পেশাল এডিশন) লাইনআপের আইফোনের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর মধ্যে মিড-লেভেল আইফোনগুলোই এককভাবে অ্যাপলকে বাজারে টিকিয়ে রেখেছে। তাই অ্যাপলের মনোযোগ তাদের মিড-লেভেল মার্কেট এর দিকে নেয়াটা নিতান্ত অমূলক কিছুই নয়।