ইয়ারবাডসের চাহিদা বর্তমানে অনেক হারে বেড়ে চলছে। ভালো একটি ইয়ারবাডস কে না চায়। অনেকে স্টাইলিশ থাকার জন্য এটি ব্যাবহার করে আবার অনেকে ইয়ারফোনের তারের ঝামেলা চায় না দেখে এটি ব্যাবহার করে। এটি ব্যাবহারের অনেক ধরন রয়েছে। তার উপরে সেটা যদি হয় কম দামী তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু, বাজারে অনেক দুই নাম্বার জিনিস থাকে যেগুলো অনেকে বুঝতে পারেনা। অনেক ঠক তাদেরকে ঠকিয়ে বেশি টাকা লাভ করতে চায়। এজন্যই ভালো একটি ইয়ারবাডস চেনা সবারই উচিত। তো এরকমই একটি ইয়ারবাডসের নাম হচ্ছে ‘এম৩০ টিডব্লিউএস’। এটির ব্র্যান্ডিং হচ্ছে ‘এমপাও’। এই ব্র্যান্ডটি মূলত ‘স্পিকার’ এবং এই ‘ইয়ারফোন’ টাইপ এর কিছু গেজেট তৈরী করে। তো তাদের এই মডেলটি বাজারে নতুন এসেছে। চলুন নিচে গিয়ে দেখে আসা যাক এই বাডসটির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যঃ⤵
এটির বক্স খোলার পরে পেয়ে যাবেন ‘এমপিও ‘ এর ব্রান্ডিং লোগোর একটি কেস। যেটার ভিতরেই রয়েছে কাঙ্খিত বাডসগুলো। আরও পাচ্ছেন তিন জোড়া এক্সট্রা ইয়ারটিপস। এছাড়াও থাকছে কিছু ডকুমেন্টস পেপার, ইউএসবি টাইপ সি ক্যাবল এবং দু জোড়া ইয়ার উইংস। ইয়ার উইংস গুলো কানে বাডস জোড়া লেগে থাকার ক্ষেত্রে বেশ সাহায্যকারী ছিলো।
ইয়ারবাডসটির কেসটি দেখতে ছিলো একেবারে সাধারন। ভিতরে থাকা বাডস দুইটি দেখতেও অনেকটা ফ্যামিলিয়ার মনে হয়েছিলো। কেসটি ছিলো প্লাস্টিক বিল্ড। তবে কেসটি ওপেন করার ম্যাগনেটিং অপশনটি ছিলো অনেক স্ট্রং। কেসটির পিছনে রয়েছে চার্জিং পোর্ট এবং সামনের দিকে রয়েছে একটি ‘এলইডি ইনডিগেটর’। যেটা চার্জিং নোটিফিকেশন লাইট।
ইয়ারবাডস গুলো উইংস সহ কানে খুব কম্ফোর্ট ফিল হয়েছিলো। আপনি যতই ঝাকাঝাকি করেন না কেনো, কান থেকে ইয়ারবাডস গুলো পরবে না। দাম অনুযায়ী এর ডিজাইন ছিলো অসাধারন। এই বাডসগুলো টাচ কন্ট্রোলড। ডান পাশে টাচ করলে নেক্সট সং এ নিয়ে যাওয়া যায়। বাম পাশে টাচ করে কল অ্যানসারিং এবং ট্রিপল ট্যাপ করে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যানাবল করা যাবে।
ইয়ারবাডস গুলোর আরেকটি ভালো দিক ছিলো, এটি ওয়াটার রেসিস্ট্যান্ট। আপনি এটা পরে সাতার কাটুন বা বৃষ্টিতে ভিজুন কোনো সমস্যা হবে না।
বাডস গুলোয় ব্লুটুথ ৫.০ থাকায়, ফোনের সাথে কানেক্টিভিটি ছিলো বেশ স্মুথ।
এই ইয়ারবাডস গুলোর সাউন্ড কোয়ালিটি ছিলো মারাত্মক। মানে এর বাজেট বিবেচনায়, এই বাডসগুলোতে এর সাউন্ড সেগমেন্ট ছিলো সেরা। যেকোনো ধরনের গান বলুন অথবা ভিডিও, সব কিছুই অনেক পরিষ্কার ভাবে শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল এই ইয়ারবাডস জোড়ায়। বেজ, মিড এবং হাই এই তিনটি ফ্রিকোয়েন্সীর সাউন্ডই অনেক ক্লিয়ার ছিলো।বাইরের নয়েজ ক্যান্সেলেশনও ভালো ছিলো।
ইয়ারবাডস জোড়ার ‘কল এর সাউন্ড’ কোয়ালিটিও ছিলো ভালোই। কিন্তু, মাঝে মাঝে একটু সমস্যা করছিলো। তবে, সেটা আবার ঠিক হয়ে যায়।
ইয়ারবাডস জোড়া ফুল চার্জ করতে সময় লাগে ২ ঘন্টা। ব্যাকআপ পাওয়া যাবে ৫ ঘন্টার মতো। ইয়ারবাডসের কেসটিকে মোট ৪বার চার্জ করা যাবে।
বর্তমানে এই ইয়ারবাডস জোড়ার দাম হচ্ছে ৩,৪০০ টাকা। এই বাজেটে এরকম একটি ইয়ারবাডস বাজারে খুব কমই আছে। বাজেট বিবেচনায় অবশ্যই অন্য সকল ইয়ারবাডস থেকে এগিয়ে থাকবে এটি। কিনতে পারেন, আশা করি ক্ষতি হবে না।