অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য স্থানান্তরের তৃতীয় পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। রাজধানী তেহরানে জাতীয় আণবিক শক্তি সংস্থা থেকে দেশের সর্বোচ্চ ভবন মিলাদ টাওয়ারে তথ্য স্থানান্তর করা হয় এই প্রযুক্তির মাধ্যমে।
সোমবার রাতে এই পরীক্ষার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট।
ইরানে ইসলামি বিপ্লব বার্ষিকীর প্রাক্কালে এ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হলো। এই প্রযুক্তির সাহায্যে দু’টি নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পথে তথ্য স্থানান্তর করা হয়। এ ক্ষেত্রে ফোটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ইরান এ নিয়ে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্য স্থানান্তরের তৃতীয় পরীক্ষা সম্পন্ন করলো। তৃতীয় পরীক্ষায় ইরান এক হাজার ৬৫০ মিটার দূরত্বে তথ্য স্থানান্তরে সক্ষম হয়েছে। এর আগে প্রথম পরীক্ষায় দুই মিটার দূরত্বে এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় ৩০০ মিটার দূরত্বে তথ্য স্থানান্তর করেছিল ইরানি বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোয়ান্টাম প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য স্থানান্তর অনেক বেশি নিরাপদ, কারণ এখানে কপি ও হ্যাক করা যায় না। তথ্য স্থানান্তরে নিরাপদ কোড ব্যবহার করা হয়।
ইরানের জাতীয় আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি বলেছেন, ইরানের জাতীয় আণবিক শক্তি সংস্থা ২০১৬ সাল থেকে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তারা গোটা বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি তা নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।