বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যাবহার করাটা অনেক কমন একটি বিষয়। অনেকে তো এটি ছাড়া থাকতেই পারেনা। গেইমিং হোক বা মিউজিক লিসেনিং, যে যেভাবে পারে স্মার্টফোন ব্যাবহার করে। আসলে এটি এখন একটি ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। যাই হোক, স্মার্টফোনের আগে সবাই যে ছোট কিছু মোবাইল ব্যাবহার করতো অনেকেরই হয়তো সেটা মনে আছে। সত্যি কথা বলতে, একসময় সেই ছোট মোবাইল ফোনের জন্য এখনকার সময়ের চেয়ে বেশি পাগল ছিলো অনেকে। বিশেষ করে ‘নকিয়া’র ফোনগুলো ছিলো অস্থির লেভেলের। এখনও অনেকে ছোট এই ফোনগুলো ব্যাবহার করে। অনেকে শুধু কথা বলার জন্য, অনেকে কাজের জন্য। যাই হোক আজ কথা বলবো কিছু ছোট সাইজের মোবাইল ফোন নিয়ে। যেগুলোর কয়েকটি মাঝামাঝি সাইজের এবং কয়েকটি অনেক ছোট। চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক মোবাইল ফোনগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যঃ
১. কেকে ১ঃ
শুরুতে যে মোবাইল ফোনটি নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, সেটির নাম হচ্ছে ‘কেকে ১’। ফোনটি সাইজে বেশ ছোট। ফোনটি আপনি চাইলে, ব্লুটুথের মাধ্যমে কানেক্ট করে আপনার এন্ড্রোয়েড ফোনের সাথেও চালাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এক ফোনের মিউজিক আরেক ফোনে বাজানো সম্ভব। এই ফোনটির রেয়ার প্যানেলে দেয়া হয়েছে বড় ধরনের একটি গ্রিল। যেটার মধ্যে একটি ইয়ারটিপস এডজাস্ট করে, ব্লুটুথ ইয়ারফোনের মতো ব্যাবহার করতে পারবেন। ফোনটিতে ব্যাবহার করা যাবে একটি সিম। ফুল চার্জে ফোনটি ব্যাকআপ দিবে ১.৫ দিনের মতো। ফোনটির দাম হচ্ছে ১,৩৯০ টাকা।
২. কপি নকিয়া মিনিঃ
‘নকিয়া’র সাথে পরিচিত নেই, এমন মানুষ খুব কমই আছে। এই ফোনটি একসময় মোবাইলের বাজারে রাজত্ব করেছিলো খুব। যাই হোক, ‘নকিয়া’র ব্র্যান্ডের ডিজাইন এবং নাম কপি করে, তৈরী করা হয়েছে ‘নকিয়া মিনি’। এই ফোনটিও বেশ ছোট। আমাদের হাতের যে ছোট আঙুলটি রয়েছে, সেটির সমান হবে। এই ফোনটির ডিজাইনে একটু কার্ভিং করা হয়েছে। রয়েছে কালার ডিসপ্লে এবং ক্যামেরাও। এত ছোট একটি ফোনে এত কিছু পাওয়াটা কম কথা নয়। ফোনটিতে দুটি সিম এবং একটি মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করা যাবে। আরও থাকছে ‘এফ এম রেডিও’র সুবিধা। এজন্য ব্যাবহার করার দরকার নেই কোনো হেডফোন বা ইয়ারফোনের। ফুল চার্জে ফোনটি ব্যাকআপ দিবে ২দিন। ফোনটির দাম হচ্ছে ১,১০০টাকা।
৩. কেচাওডা কার্ডফোনঃ
এই ফোনটি দেখতে অনেকটা ছোট কার্ডের মতো হওয়ায়, এটিকে কার্ডফোন বলা হয়। ফোনটির ডিসপ্লে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। ডিসপ্লেটি এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে, যেটাতে বাটন দেখা যায় না। ফোনটির মাঝামাঝি সাইজের। কালার ডিসপ্লের সাথে ফোনটিতে আরও রয়েছে একটি ক্যামেরা, ভিডিও দেখার সুবিধা এবং মিউজিক প্লেয়ার। ফোনটিতে ব্যাবহার করা যাবে ইয়ারফোন। ফুল চার্জে ফোনটি ব্যাকআপ দিবে ১দিন। বর্তমানে এর দাম ১,৩০০টাকা।
৪. কেচাওডা মিনিঃ
আগের ফোনের সাথে এই ফোনটির হুবহু মিল রয়েছে। পার্থক্য শুধু ডিসপ্লের বাটনের। এই ফোনটিতে ডিসপ্লের বাটনটি ভিজিবল। অর্থাৎ আগেরটিতে না দেখা গেলেও, এটিতে ঠিকই দেখা যাবে বাটন। তাছাড়া, অন্য সব কিছুই আগের ‘কেচাওডা’ ফোনটির মতোই রয়েছে। আগের টির মতো চার্জিং ব্যাকআপ দিবে ১ দিন। এর দাম হচ্ছে ১,২৫০ টাকা।
৫. ইউলেক্স ইউএক্স ২০২ঃ
এই ফোনটিও সাইজে অনেক ছোট। তবে, এটি দেখতে অনেকটা ‘নকিয়া ৩৩১০’ এর মতো। ফোনটিতে সিম কার্ড এবং মেমোরি কার্ড দুটিই ব্যাবহার করা যাবে। আগের গুলোর মতো ব্লুটুথের মাধ্যমে এন্ড্রোয়েড ফোনের সাথে কানেক্ট করা যাবে। এই ফোনটির স্পিকার ছিলো আগেরগুলোর থেকে অনেক ক্লিয়ার। সব মিলিয়ে এই ফোনটি ছিলো অনেক সুন্দর। এটির দাম হচ্ছে ১,০০০টাকা।