মহাকাশের অসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তাদের চেষ্টা থেমে নেই। সরকারিভাবে শুরুর কয়েক দশক অভিযান চললেও, পৃথিবী ছেড়ে অসীমের দিকে যাত্রায় গত এক দশকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বেসরকারি খাতের উদ্যোগগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাবেন সম্পূর্ণ বেসরকারি নভোযাত্রীদের নিয়ে গঠিত একটি দল।
অভিযানে সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে মিলিতভাবে মহাকাশ যাত্রার পথে নতুনতম উদ্যোগ। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা এক্সিউম স্পেস এই অভিযানের বেসরকারি অংশীদার।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, নাসার সাবেক নভোযাত্রী এবং স্পেস স্টেশনের সাবেক কমান্ডার মাইকেল লোপেজ-অ্যালেগ্রিয়া অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন। তবে একে পর্যটন বলাই ভালো। কারণ, প্রস্তাবিত এএক্স-ওয়ান (Ax-1) মিশনের যাত্রীদের প্রত্যেকে সাড়ে ৫ কোটি মার্কিন ডলার মূল্য দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের রকেট তাদের বহনকারী মহাশূন্য যানকে উৎক্ষেপণ করবে।
অভিযাত্রী দলে আছেন; যুক্তরাষ্ট্রের ল্যারি কনর, কানাডার মার্ক প্যাথি এবং ইসরায়েল থেকে এইতান স্টিব্বে। তিনজনেই ধনী উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী। তাদেরই দলনেতা হিসেবে থাকছেন লোপেজ-অ্যালেগ্রিয়া। তিনি এক্সিউমের একজন নির্বাহী পদেও আছেন।
মহাকাশ মিশনে সম্পূর্ন একটি বেসরকারি দলকে পাঠানোর এমন উদ্যোগ আগে দেখা যায়নি। তবে প্রথমবার ২০০১ মহাশূন্য অভিযানের টিকেট মার্কিন ধনুকুবের ডেনিশ টিটোর কাছে বিক্রি করেছিল রাশিয়া।
এবার অবশ্য নতুন আরেকটি দিক আছে বয়সের দিক থেকেও। আসন্ন অভিযানের সকল যাত্রী নাসা অভিযাত্রীদের গড় ৩৪ বছরের চাইতে বেশি বয়সের। নাসা ২৬-৪৬ বছরের অভিযাত্রীদের মহাশূন্যে পাঠায়। তবে সাম্প্রতিক অভিযানে থাকা মার্কিন নাগরিক কনরের বয়স ৭০। ৭৭ বছর বয়সী জন গ্লেনের পর তিনিই হবেন দ্বিতীয় বয়স্ক মহাকাশ অভিযাত্রী।