ভূমি সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলার সহজ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অনলাইনে মনিটরের জন্য সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএসএমএস) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
দেশে যত মামলা হয় তার সিংহভাগ ভূমি সংক্রান্ত মামলা। এসব দেওয়ানি মামলা সহজ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয় সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনের জন্য গত বছরের জুলাই পিপিএ-২০০৬ ও পিপিআর-২০০৮ অনুসরণপূর্বক কার্যক্রম গ্রহণ করে।
আজ মঙ্গলবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সবদিক বিবেচনায় নির্বাচিত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সিএসএমএস স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ সভাপতি হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সিএসএমএস স্থাপন করা হলে আদালতের তথ্য হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে না এবং মামলায় তথ্য বিবরণী আদালতে দেয়া হয়েছে কিনা, তথ্য বিবরণী কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, মামলার সর্বশেষ অবস্থা কি ইত্যাদি বিষয়েও সিস্টেম থেকে তথ্য নেওয়া যাবে। নতুন এই সিস্টেমে আদালতের বিজ্ঞ কৌঁসুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাতে আদালতের তারিখ ও আদেশ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
ভূমি তথ্য সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্ক এর সঙ্গে আন্ত: সংযোগ করে উক্ত সিএসএমএস স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সঙ্গে এই সিস্টেমের যোগসূত্র থাকবে। ই-মিউটেশন সিস্টেমের সঙ্গেও এই সিস্টেমটি একীভূত করা হবে। এতে ইউনিয়ন হতে তথ্য বিবরণী দেয়া থেকে শুরু করে আদালত পর্যন্ত তথ্য বিবরণী-এর কপি দাখিল পর্যন্ত অনলাইন সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা হতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের মামলাসহ সকল দেওয়ানি আদালতের মামলায় সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পত্তি নিয়ে এই সকল মামলা পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার যুগ্মসচিব মো. মাহমুদ হাসান এবং সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনের জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান মাইসফটহ্যাভেন (বিডি) লি. এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোফাক্কারুল ইসলাম চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার কর্মকার, মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন, প্রদীপ কুমার দাস সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপর্যুক্ত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ।