তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত প্রথম ক্লাব আইসিটি ক্লাব লিমিটেড এর যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) উদ্যোগে আইসিটি পরিবারের শতাধিক পেশাজীবি সদস্যদের অংশগ্রহণে ক্লাবটি যাত্রা শুরু করে।
গতকাল মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে সোনারতরী টাওয়ারে কেক ও ফিতা কেটে আইসিটি ক্লাব লিমিটেডের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্রাম এবং কাজ একই সুতোয় গাঁথা। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন। কাজের ফাঁকে তাদেরও বিশ্রাম, শারীরিক কসরত ও মানসিক বিশ্রামের প্রয়োজন। আইসিটি ক্লাব লিমিটেড এই খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনশক্তির শান্তি নিকেতন হিসেবে কাজ করবে। তথ্য প্রযুক্তি খাতের সকলকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আইসিটি ক্লাব দেশের সকল হাইটেক পার্কে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
পারষ্পরিক সম্পর্ক বাড়াতে ভূমিকা রাখার কথা বলে তিনি আরো বলেন, কর্মময় জীবনে আনন্দময়তা, ক্লাবটির সৃজনশীলতার মাধ্যমে নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সিলিকন ভ্যালির মতো একদিন কফির টেবিলে বসেই আইসিটি পেশাজীবিরা কোটি ডলারের সমঝোতা করবেন আইসিটি ক্লাবে। ক্লাবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আমার সহযোগিতা চলমান থাকবে।
বাংলাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি গোষ্ঠী এখনো তৎপর উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক বিপ্লবে আইসিটি ক্লাব অন্যন্য ভূমিকা পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে আইসিটি ক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু বলেন, আমরা আনন্দিত যে আইসিটি ক্লাবের যাত্রা শুরু করতে পেরেছি। প্রতিটি ক্লাবের শুরুটা ছোট আকারে হয়। এই খাতের পেশাজীবিদের মানসিক প্রশান্তি অর্জনে ক্লাবটি ভূমিকা রাখবে। আমরা প্রযুক্তির দাস হবো না বরং প্রযুক্তির উপর আমাদের কতৃত্ব থাকবে। আমরা দেশ গড়ার যোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছি। তাই নিত্যনতুন পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের সমৃদ্ধি বাড়াতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, আইসিটি ক্লাব এই খাতে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিদের জন্য একটি অনন্য উদ্যোগ। বিসিএস এর অনেকদিনের স্বপ্ন আজ সফল হলো। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। ছোট পরিসরে শুরু করলেও এই ক্লাব নিয়ে আমাদের বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। শিগগিরই আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিবো। প্রতিমন্ত্রীর পরামর্শে ক্লাবে গেমিং জোন এবং সাইবার কর্ণার দ্রুত স্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার ও আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক এবং আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও সৈয়দ মুজিবুল হক বক্তব্য রাখেন। আইসিটি খাতের পেশাজীবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারি বেসরকারি শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সংবাদকর্মীরা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।