বর্তমানে কম্পিউটার গুলো ছোট হতে হতে হাতের মুঠোয় পৌছে যাবে এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আপনি হয়তো মনে করতে পারেন আমি ট্যাব বা স্মার্টফোনের কথা বলছি।কারণ তারা ফোনের উত্তরসূরী।কিন্তু নাহ ! আমি কথা বলছি সঙ্গায়িতভাবে কম্পিউটারের কথা। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পৃথীবির সবচেয়ে ছোট কিছু কম্পিউটার সম্পর্কে।
‘মিনিসফোরামে’র এই কম্পিউটারটির আনবক্সিং করার শুরুতেই চোখে পরবে এটি। বক্সে আরও থাকছে একটি পাওয়ারফ্রিক। সে সাথে এই কম্পিউটারটাকে মনিটরে কানেক্ট করার জন্য থাকছে দুইটি এইচডিএমআই ক্যাবল। আরও থাকছে একটি মাউন্ট বা হ্যাঙ্গার।
‘মিনিসফোরামে’র এই কম্পিউটারটিতে প্রসেসর হিসেবে থাকছে ‘এ এমডি রাইজেন ৫ ৩৫৫০এইচ’, যেটা ২.১ গিগাহার্জের কোয়াড কোর প্রসেসর। এর রেম হচ্ছে ৮জিবি এবং ২৫৬ জিবি এসএসডি ইন্টারনাল মেমোরি। এটি ৪কে ভিডিও সাপোর্টেড। এটি লাইসেন্সড উইন্ডোজ ১০ এডিশন যুক্ত একটি কম্পিউটার। আরও থাকছে ডুয়্যাল ওয়াইফাই এসি এবং ডুয়্যাল গিগাবাইট লেন্স।
কম্পিউটারটির মোট ওজন ছিলো ৫৩০ গ্রাম। এটির ফ্রন্টেই আমরা দেখতে পাবো একটি মাইক্রোফোন, ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট, ২ইউএসবি থ্রি পোর্ট, ইয়ারফোন জ্যাক, পাওয়ার বাটন এবং শেষে রয়েছে আরও একটি মাইক্রোফোন। এটি রেয়ার সাইডে দেখা যাবে ২টি ইউএসবি থ্রি পোর্ট, ডিসপ্লে পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট, ডুয়্যাল গিগাবাইট ল্যান্ডলাইন এবং পাওয়ার কানেক্টেড জ্যাক। নিচে রয়েছে বিশাল একটি গ্রিল, যেটার ভিতর দিয়ে দেখলে দেখা যাবে এর মধ্যে থাকা ফ্যানটিকে। যেটির মাধ্যমে এই সিপিইউকে ঠান্ডা রাখা হয়। এই ফ্যানটির সাউন্ড একদমই সাইলেন্ট। এমনকি, এই ফ্যানটি মাঝে মাঝে অনেক জোরে ঘুরলেও কোনো সাউন্ড আসেনা। এটি ভালো একটি দিক।
এটিকে কোনো মনিটরের সাথে সেট করার জন্য সেই মনিটরের ইউএসবি ক্যাবল, এই সিপিইউ’এর এইচডিএমআই জ্যাকে দিলেই কানেক্ট হয়ে যাবে। এরপর সিপিইউ’তে থাকা পাওয়ার বাটনে প্রেস করলেই মনিটরটি অন হয়ে যাবে।
হেভি প্রেসার খুব ভালো মতোই নিতে পারে এই সিপিইউটি। যেকোনো ধরনের টাইপিং এর কাজ সহজভাবেই করে ফেলা যায়। এর মাধ্যমে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটের কাজও আপনি করতে পারবেন। যেহেতু এটি ৪কে ভিডিও সাপোর্টেড, যেকোনো হাই রেজুলেশনে ভিডিও সুন্দরভাবেই দেখা যাচ্ছিলো এর মাধ্যমে। তবে, নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজনের মতো স্ট্রিমিং গুলোতে ১০৮০’পি রেজুলেশনের উপরে ভিডিও দেখা সম্ভব নয়। আরও আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে এটি দিয়ে গেইমাররাও অনেক ভালোভাবে গেইম খেলতে পারবে। তবে, হাই লেভেলের যে গেইমসগুলো রয়েছে সেগুলো একটু লেগ করবে। তবে, সেটা মেনে নেয়ার মতো। হাই গ্রাফিক্স দিয়ে গেইম খেললে অতটাও সমস্যা দেখা দেয়না। কিন্তু, মিডিয়াম গ্রাফিক্স দিয়ে খেললে এর স্পিড অসাধারন থাকে।
সব মিলিয়ে এই মিনি কম্পিউটারটি নেয়ার মতোই একটি প্যাকেজ। যারা কোনো জিনিস একটু ইউনিক পছন্দ করেন তারা এটি অবশ্যই নিতে পারেন। সেই সাথে ডেইলি ইউজারদের জন্যও এটি হতে পারে ভালো একটি ব্যাকআপ। বর্তমানে এই মিনি কম্পিউটারটির দাম ৪৫,০০০টাকা। দাম এখানে কিছু কম হলে আরও পারফেক্ট হতো। তারপরও জিনিস যেহেতু ভালো, দাম সেরকম তো হবেই।