২০১০ সালে চীনের, বেইজিং শহরে সূত্রপাত ঘটে ‘শাওমি’ ব্র্যান্ডটির । যেটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন ‘লেই জুন’। ব্র্যান্ডটি মূলত শুরুই হয় স্মার্টফোন বিক্রির মাধ্যমে। তাদের শুরুটা হয়েছিলো, ‘মিভি’ নামের এন্ড্রোয়েড বেজড একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর মাধ্যমে। যেটি তৈরীর পর টেক দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে যায়। যেটি ‘শাওমি’ ব্র্যান্ডকে নিজেদের ডিভাইস তৈরীতে উদ্ভুদ্ধ করে। তখন থেকেই বিভিন্ন মডেলের স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসে এই ব্র্যান্ড।
২০১১ সালে ‘শাওমি’ ‘এম আই ১’ মডেলের স্মার্টফোনটি তৈরী করে। এই ফোনটি অ্যানাউন্স হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই ৩৪ লক্ষ প্রি অর্ডার চলে আসে। ২০১২ তে তারা তাদের এই মডেলটির ২’য় ভার্সন ‘এম আই ২’ এর অ্যানাউন্স করে। যেটি আরও বেশি জনপ্রিয়তা পায়।
২০১৪ তে ‘চায়না’য় লিডিং স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারার ছিলো ‘শাওমি’। সে বছরেই ‘ফ্লিপকার্টে’র মাধ্যমে ‘শাওমি’ তাদের স্মার্টফোন গুলো ‘ভারতে’ বিক্রি শুরু করে। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে সেসময় ‘ভারতে’ প্রতি ৫ সেকেন্ড ‘শাওমি’র ১লক্ষ স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছিলো। সেই বছরই মাত্র ২৪ ঘন্টায় ২.১১ মিলিওন ফোন বিক্রি করে ‘গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’ও করেছিলো তারা। একবার ভেবে দেখুন কি পরিমানে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো তাহলে তারা। এরপর, পরের বছর সারা বিশ্বে ‘শাওমি’ তাদের তৈরী করা ৭০ মিলিওন স্মার্টফোন বিক্রি করে। আমাদের দেশে ‘শাওমি’র নোট নাইন সিরিজ একদিনে বিক্রি হয়েছিলো ৩০,০০০+। সেদিন ‘শাওমি’র আয় হয়েছিলো ৭০ কোটি টাকা।
তাদের স্মার্টফোনগুলোতে মূলত দুইটি ধরন রয়েছে। একটি হচ্ছে তাদের ‘এমআইব সিরিজ এবং আরেকটি হচ্ছে ‘রেডমি’ সিরিজ। ‘এমআই’ ব্র্যান্ডের রয়েছে বিভিন্ন জনপ্রিয় গেজেট, সাথে ফিটনেস ট্রেকারও। ‘শাওমি’ ভালো মানের হেডফোন বা ইয়ারফোন তৈরীতেও নিখুত। তাদের হেডফোন বা ইয়ারফোন ভালো হবার কারনে এসব গ্রাহক মহলে বেশ সমাদৃত।
‘শাওমি’ গ্রাহকদের প্রতি তাদের বিশ্বস্ততার কারনে খুব কম সময়ের মধ্যেই অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সাথে টক্কর দেয়া শুরু করে বিভিন্ন দামী ব্র্যান্ডের সাথেও। ক্রেতাদের বাজেটের মধ্যে থাকা দামেই, অসাধারন ফিচারে ভরপুর স্মার্টফোন বিক্রি করে থাকে তারা।
‘শাওমি’র পাওয়ার ব্যাংক, ওয়াইফাই এক্সটেনসন, ওয়্যারলেস চার্জার ইত্যাদি জিনিসগুলোও অনেক ভালো মানের। ‘শাওমি’র তৈরী স্মার্টওয়াচ এবং স্মার্টব্যান্ডও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাজারে।
‘শাওমি’ বর্তমানে ৭০টিরও বেশি দেশে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যায় এভাবেই সামনে নতুন নতুন আপগ্রেড ফোন নিয়ে বাজার কাপাবে ‘শাওমি’।