আমরা প্রতিদিনের জীবনে নানা রকম, নানা ধরনের ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যাবহার করি বা দেখতে পাই। এগুলোর মধ্যে অনেক আছে পোশাক পন্য অথবা অনেক রয়েছে যানবাহন। এছাড়াও অনেক ধরনের দৈনন্দিন ব্যাবহৃত জিনিসপত্রও ব্র্যান্ডের হয়ে থাকে। এসব ব্র্যান্ডের রয়েছে এদের নিজস্ব লোগো। যে লোগোর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের পরিচয় তুলে ধরে। কিন্তু, অনেকেই এসব ব্র্যান্ডের এই লোগোর ইতিহাসের ব্যাপারে জানেনা। আজ আপনাদেরকে জানাবো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লোগোর পুরো অর্থ এবং সেগুলো তৈরীর ইতিহাসের ব্যাপারে। তো চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক বিস্তারিতঃ⤵
১. হুন্ডাইঃ
‘হুন্ডাই’ ব্র্যান্ডের লোগোটি দেখতে ইংরেজি অক্ষর ‘এইচ’ এর মতো। কিন্তু, এই লোগোটির আসল অর্থ হচ্ছে দুইজন লোক হাত মিলাচ্ছে। অর্থাৎ বিক্রেতার কাছ থেকে পন্য নিয়ে গ্রাহক তার সাথে হাত মেলাচ্ছে।
২. আডিডাস:
‘আডিডাস’র বর্তমান লোগোতে তিনটি সমান দাগ সমান ভাবে ভাঙা ভাঙা অবস্থায় ত্রিভুজাকারে দেখা যায়। এর অর্থ হচ্ছে পাহার বা প্রতিবন্ধকতা। অর্থাৎ একজন খেলোয়ারকে প্রতিটি খেলাতেই হারাতে হয় তার বিপক্ষ প্রতিবন্ধকতাকে। এ কারনেই ‘এডিডাস’ তাদের লোগোর ডিজাইন এরকম করেছে।
৩. অ্যাপলঃ
বিশ্ববিখ্যাত এই ব্র্যান্ডটির লোগো হচ্ছে একটি খাওয়া আপেল। এই ডিজাইনটির মেকারের নাম হচ্ছে ‘রব জেনোফ’। তিনি এক সাক্ষাৎকারে এই লোগোটির বর্ননায় বলেন, তিনি একদিন এক ব্যাগ আপেল কিনে একটি বাটিতে রাখেন। সেগুলো দেখে দেখে তিনি কাগজে বিভিন্ন রকমভাবে আকার চেষ্টা করেন। পরে তার নিজের আকা একটি ছবি পছন্দ হয়, যেটি ছিলো একটি আপেলের একপাশ খাওয়া।
৪. আমাজন:
‘আমাজন’ ব্র্যান্ডের তীর চিহ্নটির অর্থ হচ্ছে হাসি। আসলে তাদের এরকম লোগো তৈরীর মূল কারন হচ্ছে, তারা চায় গ্রাহকরা যেনো তাদের পন্য নিয়ে হাসিখুশি থাকে। এছাড়াও এর মাধ্যমে আরও একটি অর্থ বোঝানো হয়। খেয়াল করলে দেখবেন ইংরেজী অক্ষরে ‘এমাজনে’র ‘এ’ অক্ষরটি থেকে ‘জেড’ পর্যন্ত সেই তীর চিহ্নটি দেয়া। অর্থাৎ এ টু জেড সকল দরকারী পন্য যেনো গ্রাহকেরা এদের কাছ থেকে নিতে পারে।
৫. টয়োটাঃ
‘টয়োটা’ কোম্পানির লোগোটির রয়েছে শৈল্পিক একটি অর্থ। আপনারা যদি খেয়াল করেন, তাহলে দেখতে পারবেন যে একটি সুইয়ের ভিতর সুতা ঢুকছে। এই লোগোটির মাধ্যমে এই কোম্পানিটি অতীতের কথা মনে করানোর চেষ্টা করে। মূলত ‘টয়োটা’ প্রথম অবস্থায় সেলাই মেশিনের কোম্পানি দিয়ে শুরু করেছিলো তাদের ব্যাবসা। এ কারনেই তারা তাদের লোগোটির আকৃতি এমন দিয়েছে।
৬. ফর্মূলা ১ঃ
গাড়ির জগৎে সবাই ‘ফর্মূল ১’ ব্র্যান্ডটিকে চিনে অনেক আগে থেকেই। এই লোগোটি করা হয়েছে ‘এফ’ অক্ষরটির সামনে লাল রঙের ১ সংখ্যাটি স্পিডে চলছে, এরকম কিছু বোঝাতে। গাড়ির স্পিডের কারনেই এরকম লোগো রাখা হয়েছে এই ব্র্যান্ডটির।
৭. বি এম ডব্লিউঃ
জার্মান অধিভুক্ত একটি দ্বীপের পতাকার সাথে মিল রেখেই তৈরী করা হয়েছে ‘বি এম ডব্লিউ’র লোগোটি। মূলত এই অঞ্চল থেকেই ‘বি এম ডব্লিউ’ কোম্পানিটির উৎপত্তি।
৮. এলজিঃ
‘এলজি’র শৈল্পিক এই লোগোটি কোনো মানুষের চেহারার মতো। এই কোম্পানির মতে তাদের পন্য কেনার মাধ্যমে মানুষের যে হাসিমুখের সৃষ্টি হয়, সেটি এই লোগোতে নির্দেশ করে।
৯. কোকাকোলাঃ
‘কোকাকোলা’ সফট ড্রিংকের সাথে আমরা সবাইই কমবেশি পরিচিত। ১৮৮৬ সালের মে মাসে এর এই অক্ষরের ফর্মূলা আবিষ্কার করা হয়। কোম্পানির মতে দুইটি ‘সি’ অক্ষর কোম্পানিটির জন্য বেশ মানানসই হবে। পরে এভাবেই আস্তে আস্তে চলতে থাকে এই কোম্পানির সাথে লোগোটির যাত্রা।