বাংলাদেশ ভুটানের পরিক্ষিত বন্ধুই নয়, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশিদার। বাংলাদেশ ভুটানের আধ্যাত্বিক ঐতিহ্যের একটি বড় উৎস। বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি এ সব কথা বলেন। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আমদানি করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সাথে ওয়েবিনারে আজ বুধবার তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন। ভুটানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির ব্যাপারে মন্ত্রী সম্ভাব্য সবধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে কারিগরি ও বাণিজ্যিক বিষয়াদি নিয়ে আলোকপাত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূটানের সহযোগিতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ হিসেবে ভুটানের ভুমিকা তুলে ধরেন এবং ভুটানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের ভুপ্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জীবন ধারা প্রায় এক ও অভিন্ন। তিনি দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ এগিয়ে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি গ্রামে সংযোগ পৌঁছে দিতে উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ বাংলাদেশ এখন রপ্তানি করছে। রাষ্ট্রদূত ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় উপনীত করতে তার প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের অব্যহত অগ্রগতি বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।