ছোটখাটো কোম্পানি কেনার বিষয়টি মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের কাছে এখন ‘ডাল-ভাত’। গত ৬ বছরে ছোট-বড় অন্তত একশ’ কোম্পানি কিনেছে অ্যাপল। এর মানে প্রতি ৩ থেকে ৪ সপ্তাহে একটি করে কোম্পানি কেনে তারা।
অ্যাপলের শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
গত এক দশকে অ্যাপলের সবচেয়ে বড় অর্জন ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে হেডফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিটস ইলেক্ট্রনিক্স কিনে নেওয়া। পলের আরেকটি হাই প্রোফাইল অর্জন হচ্ছে- ২০১৮ সালে মিউজিক সফটওয়্যার কোম্পানি শাজামকে ৪০ কোটি ডলারে কিনে নেয় অ্যাপল।
বেশিরভাগ সময় অ্যাপল ছোট প্রযুক্তি ফার্মগুলো কিনে নেয় এবং তাদের আবিষ্কার নিজেদের পণ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। উদাহরণ হিসেবে দেয়া যায়, ইসরায়েলের থ্রিডি সেন্সিং কোম্পানি প্রাইমসেন্স কিনে নিয়েছিল অ্যাপল, এই প্রযুক্তি এখন অ্যাপলের আইফোনের ফেইস আইডি হিসেবে কাজ করে
২০১৯ সালে অ্যাপল ড্রাইভ এআই কিনে নেয়। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় শাটল ড্রাইভিং সিস্টেম। স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তিকে আরও সমৃদ্ধ করতেই এ উদ্যোগ নেয় অ্যাপল। ২০১৬ সালে অ্যাপল চীনা রাইড সার্ভিস ডিডি চুজিং কিনে নেয় ১০০ কোটি ডলারে।
সুযোগ পেলেই অ্যাপল প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়, তা কিন্তু নয়। টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ২০১৩ সালে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসা কিনে নেয়ার জন্য অ্যাপলকে তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু টিম কুক তাতে সম্মত হননি।