শুরুর দিকে আইফোনে বিল্টইন স্টোরেজ বাড়ানোর ওপর অতটা জোর না দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে অ্যাপল। এর পরও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিমিয়াম অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর চেয়ে এখনো পিছিয়েই আছে আইফোন। এসব ফোনের অনেক মডেলই এখন ১ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ সমর্থন করে।
অ্যাপলের সরবরাহ চেইনের তথ্যের ভিত্তিতে ওয়েববুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ব্লগ নাইট টু ফাইভ ম্যাককে জানিয়েছেন, পরবর্তী আইফোন যেটির সম্ভাব্য নাম হতে পারে আইফোন ১৩, সেটিতে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ অপশন থাকবে। বর্তমানে আইফোন ১২ প্রো সর্বাধিক ৫১২ গিগাবাইট স্টোরেজ সমর্থন করে। অর্থাৎ পরবর্তী আইফোন এর দ্বিগুণ স্টোরেজ সমর্থনে সক্ষম হবে।
অ্যাপলের আইওএস চালিত ডিভাইসের মধ্যে বর্তমানে একমাত্র আইপ্যাড প্রো ১ টেরাবাইট স্টোরেজ সমর্থন করে।
অবশ্য ক্লাউড স্টোরেজ সহজলভ্য হয়ে যাওয়ার কারণে এখন আর সাধারণ ফোনে খুব বেশি বিল্টইন স্টোরেজ দরকার পড়ে না। অনেকে মাত্র ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজেই কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। তবে যারা উচ্চ রেজল্যুশনের ভিডিও নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি সুসংবাদ।
আগামী সেপ্টেম্বর-নভেম্বরেই আইফোন ১৩ উন্মোচনের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে নানা গুঞ্জন বাজারে চালু হয়ে গেছে। এ সংস্করণে উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে থাকতে পারে সার্বক্ষণিক সক্রিয় ডিসপ্লে, যেটির আবার রিফ্রেশ রেট হবে ১২০ হার্টজ। সেই সঙ্গে আরো শক্তিশালী ম্যাগসেফ ম্যাগনেটিক কানেক্টর এবং নতুন অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফি ফিচার থাকছে।
এর আগের এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, আইফোন ১৩-এর নকশা আগের সংস্করণটির মতোই হবে। তবে এতে থাকবে আরো উন্নতমানের আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। সূত্র: ম্যাশেবল