ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যে প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণে কাজে আসে না সেই প্রযুক্তির কোন মূল্য নাই। যে প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হয় ও যে প্রযুক্তি মানুষের জীবনধারা পাল্টে দেয় বাংলাদেশ এখন এই সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের নতুন সময়ে উপনীত হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবের সাথে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বৈশিষ্ট মিলানো যাবে না, তুলনার বিষয়ও নয়। এই যুগে মেধা, সৃজনশীলতা ও যোগ্যতা ব্যবহার করতে না পারলে ডাইনোসরের মতো হারিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওকে- দোয়েল /বাঘ আইওটি ভিহ্যাকল এর সাথে রবির চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন ধারনাকে বাস্তবে পরিণত করার প্রচেষ্টার জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, আমরা এর মধ্যে এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি যা দেশের মানুষের কাজে লাগবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অতীতের তিনিটি শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণ করতে না পারলেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
কম্পিউটারের বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, সামনের দিনে আমাদের আরও বেশী উদ্ভাবন করতে হবে। দেশের কম্পিউটার বিপ্লবের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার, ট্যাক্স কমানোর ফলে দেশে মোবাইল উৎপাদনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৬০ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল থেকে মেটানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২১ সালের পর তা শতভাগে উন্নীত হবে।
ওকে –দোয়েল এর চেয়ারম্যান কাজী জসিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রবি‘র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন। মাহতাব উদ্দিন বলেন, রবি পরিবার সর্বদা উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তির অংশিদার হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।