বিটকয়েনের বিনিময়মূল্য প্রথমবারের মতো ৬০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে গত শনিবার। এখনো আশপাশেই ওঠানামা করছে। অর্থাৎ আপনি ১ বিটকয়েনের মালিক হলে বিনিময়ে এখন ৬০ হাজার ডলার পেতে পারেন।
অথচ বিটকয়েনের প্রথম বিনিময়মূল্য ছিল ০.০০০৮ ডলার। অর্থাৎ এক ডলারের বিনিময়ে ১২৫০ বিটকয়েন পাওয়া যেত। সে অবশ্য ২০১০ সালের জুলাইয়ের ঘটনা। এরপর তরতর করে বেড়েছে দর। দরে পতন যে হয়নি, তা নয়। তবে সার্বিক ঊর্ধ্বগতি বজায় ছিল বলেই এখন মূল্য ৬০ হাজার ডলারের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে।
বিটকয়েনের বড় পৃষ্ঠপোষকদের একজন বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বিটকয়েনের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে তাঁরও সক্রিয় অবদান আছে। ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আমি প্রকৌশলী, বিনিয়োগকারী নই।’ তবু মাঝেমধ্যে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা চালাতে দেখা যায় তাঁকে। আমরাও চলুন নিজ নিজ পেশা ভুলে ক্ষণিকের জন্য বিনিয়োগকারীর ভূমিকায় নামি। বিশেষত, সংখ্যা নিয়ে যখন কথা হচ্ছেই।
ঠিক বিনিয়োগ ভাবনাও নয়, বরং আফসোস বাড়াই চলুন। এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৫ মার্চ বিটকয়েনে এক হাজার ডলার বিনিয়োগ করলে আজ আপনি কত ডলারের মালিক হতেন, তা-ই হিসাব করা যাক।
কয়েনডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৫ মার্চ স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় বিটকয়েনের বিনিময়মূল্য ছিল ৫ হাজার ৩০৪ দশমিক ১৫ ডলার। আর এখন বিটকয়েনের মূল্য ক্রমাগত ওঠানামা করলেও তা ৬০ হাজার ডলারের আশপাশেই আছে। তাই হিসাবের সুবিধার্থে বর্তমান মূল্য ৬০ হাজার ডলার ধরে নিচ্ছি।
অর্থাৎ ঠিক এক বছর আগের তুলনায় এখন বিটকয়েনের দাম ১১ দশমিক ৩১ গুণ। সে হিসাবে এক বছর আগে ১ হাজার ডলারের বিটকয়েন কিনলে এখন তার মূল্য দাঁড়াত ১১ হাজার ৩১১ ডলার। এক বছরে লাভ হতো পাক্কা ১০ হাজার ৩১১ ডলার। আর ১০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলে লাভও ১০ গুণ হতো।
আগেই বলেছি, আমরা আফসোস বাড়ানোর চেষ্টা করব। এবার তাই একদম প্রথম বিনিময়মূল্য, অর্থাৎ ২০১০ সালের জুলাইয়ের সঙ্গে তুলনা করা যাক, যখন প্রতি মার্কিন ডলারে ১২৫০ বিটকয়েন পাওয়া যেত। সে সময় ১ হাজার ডলার খরচ করলে পাওয়া যেত ১২ লাখ ৫০ হাজার বিটকয়েন। এখন প্রতি বিটকয়েনে যদি ৬০ হাজার ডলার পাওয়া যায়, তবে সাড়ে ১২ লাখ বিটকয়েনে পাওয়া যেত ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
২০১০ সালের জুলাইয়ে কেবল ১৩ দশমিক ৩৪ ডলারের বিটকয়েন কিনলে আজ আপনি ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের মালিক হয়ে যেতেন। আর টাকার হিসাবে বিলিয়নিয়ার হতে চাইলে সেদিন ১ ডলার খরচ করলেই আজ ঢের বেশি হয়ে যেত।
করোনাকালের এই অর্থনৈতিক দুর্দিনে বিনিয়োগে এমন রিটার্ন আর কোথায় পাবেন বলুন?