জাপানে ফোনের ক্যামেরার শাটারের শব্দ কোনোভাবেই বন্ধ রাখা যায় না।
● মুঠোফোনের সঙ্গে ক্যামেরা জুড়ে দিয়ে প্রথম ফোন আনে জাপানের শার্প ইলেকট্রনিকস। জে-এসএইচ-৪ নামের ফোনটি জে-ফোন নামেই বেশি পরিচিত ছিল। ২০০০ সালে আসা ফোনটিতে বিল্ট–ইন রিয়ার ক্যামেরাটি ০.১১ এমপি সিএমওএস ইমেজ সেন্সর ছিল। তখন জা ফোনের দাম ছিল ৫০০ ডলার।
● ২০০০ সালেই দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিকস তাদের প্রথম ক্যামেরা ফোন এসসিএইচ-ভি২০০ অভ্যন্তরীণ বাজারে ছাড়ে। এতে ছিল ০.৩৫ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা, যা দিয়ে ২০টি ছবি তোলা যেত।
● যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্যামেরা ফোন সানিয়ো এসসিপি-৫৩০০। ২০০২ সালে এতে ছিল ০.৫ মেগাপিক্সেল। দাম ছিল ৪০০ ডলার। সে সময় ১০ লাখের বেশি বিক্রি হয় এই ক্যামেরা ফোন।
● ২০০৬ সালে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মোবাইল ফোনে ক্যামেরা যুক্ত হয়।
● দ্বৈত বা ডুয়েল ক্যামেরার ধারণা এখনকার নয়। ২০১১ সালে এলজি অপটিমাস থ্রিডি এবং এইচটিসির ইভো থ্রিডি স্মার্টফোনে দুই ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
● প্রসেসর নির্মাতা কোয়ালকম অনুমান করছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার স্মার্টফোন আসতে পারে।
● স্মার্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন, সফটওয়্যারসহ ক্যামেরা ফোন প্রথম আনা হয় ২০১২ সালের শেষের দিকে।
● স্যামসাংয়ের এসসিএইচ-ভি৪২০ মডেলের ফ্লিপ ফোনে ০.৩ এমপি সিসিডি সেন্সর ছিল, যা কিনা বিভিন্ন কোণে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ছবি তুলতে পারত।
● স্প্রিন্টের পিএম৮৯২০ ফোন ১.৩ এমপি ক্যামেরার ১২৮০x৯৬০ রেজল্যুশনের ছবি তুলতে পারত। তখন থেকে ছবি তুলে সেটি ল্যাবে প্রিন্ট করার এক নতুন চল শুরু হয়।
● ২০০৫ সালে নকিয়া ফোন ক্যামেরা বিক্রির এক নতুন রেকর্ড তৈরি করে। নকিয়ার এন-৯০ ফোনের ২ এমপি ক্যামেরা এবং অটো-ফোকাস ও এলইডি ফ্ল্যাশ স্টাইলিস্ট, নজরকাড়া ফোনটিকে ইচ্ছেমতো ঘোরানো যেত।
● ক্যামেরাযুক্ত প্রথম স্যাটেলাইট ফোন থুরাইয়া এসজি-২৫২০।
● ফোন ক্যামেরার সূচনায় কোডাকের ক্যামেরার চেয়ে নকিয়া বেশি ক্যামেরাযুক্ত ফোন বিক্রি করেছিল ২০০৮ সালে।
● ত্রিমাত্রিক ক্যামেরার উত্থান হয় ২০১০ সালে এইচটিসি ইভো থ্রিডি ফোনের কল্যাণে। এতে শুধু ত্রিমাত্রিক ছবিই তোলা যেত না, ত্রিমাত্রিক ছবি ও ভিডিও দেখা যেত।
● স্যামসাং প্রথম গ্যালাক্সি এস৩ ফোনে একনাগাড়ে ২০টি শট নেওয়ার সুবিধা আনে।