করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন বিক্রিতে খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি । যদিও ইন্টারন্যাশনাল ডাটা কর্পোরেশন (আই.ডি.সি.) এর পূর্বাভাস ছিল বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই – সেপ্টেম্বরে স্মার্টফোন বিক্রির হার কমতে পারে ৯ ভাগ । কিন্তু দেখা গেছে যে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে বিক্রি কমেছে মাত্র ১.৩ ভাগ । এই সময়ে স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৩৫কোটি ৩৬ লাখ । সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে স্যামসাংয়ের হ্যান্ডসেট তৃতীয় প্রান্তিকে স্যামসাং হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৪ লাখ ।যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২.৯ ভাগ বেশি ।
ইন্টারন্যাশনাল ডাটা কর্পোরেশন (আই.ডি.সি.)এর হিসাব বলছে আগের মতই স্যামসাং শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখলেও বড় আকারের বিক্রি কমেছে হুয়াওয়ে ফোনের। তারপরও অবশ্য ১৪.৭ ভাগ শেয়ার নিয়ে বিশ্ববাজারের দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে হুয়াওয়ে ।
সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে শাওমি। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর তাদের বিক্রি বেড়েছে ৪২ ভাগ এবং ১৩.১ ভাগ শেয়ার দখল করে টপকে গেছে অ্যাপলকে । অর্থাৎ বিক্রি বাড়িয়ে অ্যাপল কে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন কোম্পানির তালিকায় উঠে এসেছে শাওমি । বিক্রি করেছে প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ স্মার্টফোন । এসময় ভারত এবং চীন দুই বাজারেই বিক্রি বেড়েছে শাওমির । জনপ্রিয়তা পেয়েছে শাওমির কয়েকটি হ্যান্ডসেট।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “রেডমি কে থার্টি আল্ট্রা” এবং “মি টেন আল্ট্রা” সেটগুলো।
চতুর্থ অবস্থানে নেমে আসা আইফোনের বিক্রি কমেছে প্রায় ১০.৬ ভাগ । তৃতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর এ গিয়ে আইফোনের বিক্রি কমেছে প্রায় ৪ কোটি ১৬ লাখ। এতে প্রতিষ্ঠানটি এর বাজারে অংশ দাঁড়িয়েছে ১১.৮ ভাগ।
ইন্টারন্যাশনাল ডাটা কর্পোরেশন (আই.ডি.সি.)এর মতে করোনার প্রভাব এবং “আইফোন টুয়েলভ” দেরিতে আসাটাই অ্যাপলের পতনের কারণ। তবে বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এবং আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে আইফোনের বিক্রি বাড়বে বলে পূর্বাভাস প্রতিষ্ঠানটির । একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভিভো তৃতীয় প্রান্তিকে গিয়ে বিক্রি করেছে প্রায় ৩ কোটি ১৫ লাখ স্মর্টফোন । প্রতিষ্ঠানটির মার্কেট শেয়ার ৮.৯ ভাগ । “এফ ” সিরিজের হ্যান্ডসেট গুলো চীনের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির শক্তিশালী অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ।