ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ কিছু এলাকা ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে অপারেটর সূত্রে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে আজ শুক্রবার দুপুরের পর বায়তুল মোকাররম ও হাটহাজারীতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে হাটহাজারীতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, এরপর সন্ধ্যার আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে মোবাইল অপারেটরগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, বিকেল থেকে তাঁরা ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে পারছেন না। এ বিষয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারেরা বলছেন, বিষয়টি তাঁদের হাতে নেই। সরকারের হাতে ফেসবুক ডাউন করার প্রযুক্তি আছে।
দেশের মুঠোফোন গ্রাহকেরা তিন ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন, ফোর–জি, থ্রি–জি ও টু–জি। ফোর–জি এবং থ্রি–জি মূলত দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগ অ্যাপ ও ভিডিও দেখার জন্য ফোর–জি ও থ্রি–জি ইন্টারনেট সেবার প্রয়োজন হয়।
সন্ধ্যার আগ থেকে গ্রাহকদের অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধের বিষয়টি জানা যায়। অবশ্য এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিটিআরসির দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।