কোনো সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ভারতে উৎপাদন ইউনিট বসালে দেশটি সে প্রতিষ্ঠানকে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি নগদ প্রণোদনা দেবে। স্মার্টফোন সংযোজন শিল্পকে আরও উন্নত করতে এবং ভারতে ইলেকট্রনিক্স সরবরাহ চেইনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দেশটি এ উদ্যোগ নিচ্ছে।
দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ ভারতকে চীনের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নির্মাতা করে তুলতে সহায়তা করেছে। নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে, এখন সময় এসেছে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভারতে নিয়ে আসার।
“সরকার চিপ ফ্যাব্রিকশন ইউনিট বসাবে এমন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি নগদ প্রণোদনা দেবে,”– রয়টার্সকে বলেছেন এক প্রবীণ সরকারী কর্মকর্তা। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
“আমরা তাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে সরকার ক্রেতা হিসেবে থাকবে এবং বেসরকারী বাজারেও তারা বিক্রি করতে পারবে যাতে স্থানীয় নির্মাতারাও ওই চিপস কিনতে পারে।”
তবে, এই নগদ প্রণোদনা বিতরণ পদ্ধতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং সরকার এই শিল্প থেকেও মতামত জানতে চেয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন দ্বিতীয় একটি সরকারী সূত্র। পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি তিনিও।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ভর্তুকি দিচ্ছে কারণ চিপ সঙ্কটের আঘাত এসে লেগেছে অটো এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে। পাশাপাশি চিপ সরবরাহের জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাইওয়ানের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
গত বছর সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে চীনের উপর নির্ভরতা হ্রাস করতে ভারত তার ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারীও প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
স্থানীয়ভাবে তৈরি চিপগুলি “বিশ্বস্ত উৎস” হিসাবে চিহ্নিত হবে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ৫জি সরঞ্জাম পর্যন্ত পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে প্রথম সূত্র জানিয়েছেন।
তবে সূত্র দুজন বলেননি নির্দিষ্ট কোনও সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভারতে উৎপাদন ইউনিট বসাতে আগ্রহ দেখিয়েছে কি না।
এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে দেশটির প্রযুক্তি মন্ত্রীও সাড়া দেননি।