লেখালেখিটা বাঙালি জাতির রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে। কারণ বাঙালি জাতির প্রতিবাদের একমাত্র ভাষা ছিল লেখালেখি। সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে একদিকে যেমন বাংলা সাহিত্যে হয়েছে সমৃদ্ধ, তেমনি অনলাইন প্লাটফর্মে বিস্তার লাভ করেছে বাংলা ভাষা।
একটা সময় ছিল যখন লেখালেখির মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ার একমাত্র মাধ্যম ছিল বই লেখা, সাংবাদিকতা ।
তবে যোগাযোগ প্রযুক্তির দৌলতে আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার সেটেল করেছে। আর আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হওয়ার জন্য যতগুলো গুণ আপনার ভেতর থাকা উচিত সে সম্পর্কে। মিলিয়ে নিন আপনার ভেতরে ধরনের কোনগুলো হয়েছে কিনা।
চুরি বিদ্যার প্রলয়কারী জ্ঞান থেকে বিরত থাকাঃ
ভবিষ্যতে আপনি যদি একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে গড়ে উঠতে চান তাহলে এই বিষয় মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা যখন আপনি এটি থেকে পরিত্রান পাবেন তখন আপনার মধ্যে নিজে নিজেই এক ধরনের সৃজনশীলতা গড়ে উঠবে। এবং সৃজনশীলতা হলো যেকোনো বিষয় সম্বলিত আর্টিকেল লেখার মূলমন্ত্র। আপনার আর্টিকেল এর ভেতর সৃজনশীলতার পরিমাণ যত বেশি থাকবে মানুষের কাছে তখন তা ততো প্রায়োরিটি পাবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখা:
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা লাখ লাখ কনটেন্ট এর মাঝখানে পাঠকেরা কেবলমাত্র তখনই আপনার কনটেন্ট পড়বে যখন আপনার কনটেন্ট গুলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ফ্রেন্ডলি হবে। একসময় ধারণা করা হতো এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল এর মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাঘাত ঘটে। তবে সে ধারণা ভুল। বরং এটি এক ধরনের ক্রিটিভিটি ।
প্রচুর পরিমাণে কনটেন্ট পড়াঃ
কোন কিছু লিখতে হলে প্রথমে পড়তে হয়। আপনি যত ভালো করে পড়তে পারবে আপনার শব্দের ভান্ডার আরো তত সমৃদ্ধ হবে। সে কারণে এখন থেকে চেষ্টা করুন কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্লগ পড়ার।
কেননা আপনি যে সকল ব্লগ পড়বেন পরবর্তীতে আপনার লেখার ধাচ সেই সকল ব্লগ এর মতই হবে!
প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে টুকিটাকি ধারণা রাখাঃ
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একজন আর্টিকেল রাইটার কখনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আর্টিকেল লেখেনা। সেকারণে ক্লায়েন্ট এর চাহিদার ভিত্তিতে ব্লগ লেখার জন্য প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে কমবেশি ধারণা রাখতে হবে। এর জন্য বেশি বেশি সাধারন জ্ঞান চর্চা করতে হবে। আপনি চাইলে বেশি বেশি ম্যাগাজিন পড়তে পারেন। কেননা সেখানকার লেখাগুলো কোয়ালিটি সম্পন্ন আপনার লেখার উপর প্রভাব ফেলবে।
রিসার্চ করার দক্ষতাঃ
এটি যার যত সমৃদ্ধ সে তত ভাল ব্লগ আর্টিকেল লিখতে পারবে। আপনার কনটেন্ট যত বেশি তথ্যবহুল হবে ততো বেশি এটি মানুষের কাছে সমাদৃত হবে।
ইন্টারনেট হলো তথ্যের এক অফুরন্ত ভান্ডার। আপনাকে কেবলমাত্র সেই ভান্ডার থেকে বিষয়বস্তু সম্বলিত তথ্যগুলো তুলে আনতে হবে। অতঃপর তার যোগ করতে হবে আপনার আর্টিকেলে, তাও আবার আপনার নিজের ভাষায়।
ভিডিও কনটেন্ট এর তুলনায় ব্লগ কনটেন্ট বেশি দেখাঃ
ইদানিং মানুষ ভিডিও কনটেন্ট এর দিকে একটু বেশি ঝুঁকে পড়ছে। যার ফলে মানুষ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে ব্লগ কনটেন্ট পড়ার ধৈর্য। এমন অভ্যাস পরিহার করতে হবে। নিজে ব্লগ কন্টেন্ট পড়বেন, অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করবেন।