রিয়েলমি নিয়ে এসেছে এ বছর মিড বাজেট এর ফোনগুলোর ভেতর অন্যতম সেরা পারফরমার নারজো থার্টি প্রো। ৫০০০ এম এ এইচ ব্যাটারি সম্পন্ন এই ফোনটি বাংলাদেশের বাজারে এখনো অফিশিয়ালি লঞ্চ করা হয়নি। তবে তাই বলে বাংলাদেশের টেক প্রেমীদের মধ্যে কোনটি নিয়ে আগ্রহের বিন্দুমাত্র ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়নি।
তাহলে চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রিয়েলমি তাদের চমকের মাধ্যমে কি কি উপহার দিতে চলেছে ব্যবহারকারীদের।
শুরু করা যাক আনবক্সিং দিয়েঃ
আনবক্সিংএ এমন আহামরি কিছু থাকছে না ।এখানে ব্যবহার করা হয়েছে একটি প্লাস্টিক কভার। এবং তার সাথে দেওয়া হয়েছে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন একটি চার্জার ,তার সাথে দেখা হয়েছে type-c ক্যাবল।
ডিজাইনঃ
রিয়েলমি গ্লোবাল মার্কেটে তাদের এই ফোনটি দুই কালারের লঞ্চ করেছে। হাতে নিলে বেশ ক্লাসিক মনে হবে। যদিও অন্যের হাতে দেখলে একটা প্রিমিয়াম লুক পাওয়া যায় ।ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির একটি ডিসপ্লে। ১৯৬ গ্রাম ওজনের ফোনটির রেয়ারে কোন ধরনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়া হয়নি ।তবে পাশে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়া হয়েছে। যেটি আবার একই সাথে পাওয়ার বাটন হিসেবে কাজ করে ।আরেকপাশে দেয়া হয়েছে ভোলিয়াম ব্রকার এবং সিম স্লট। সবমিলিয়ে ডিজাইন আহমরি কিছু না হলেও সিম্প্লে গর্জিয়াস।
ফোনের ক্যামেরাঃ
রিয়ারে ব্যবহার করা হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রধান ফোকাস ৪৮ মেগাপিক্সেলের ।এছাড়াও রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের মেক্র সুটার, ৮ মেগাপিক্সেল ডেপথ। ফোনটিতে যদি বড় ধরনের কোন লেক থেকে থাকে তাহলে সেটি হল এর ক্যামেরা। আমি জানিনা দুই মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো কেন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে যে স্লোমোশন ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে তা সত্যিই অসাধারণ। কালার অনেকটাই বুস্ট করে দেয়!
সামনের ফ্রন্ট ৮ মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে । এটি অবশ্য বেশ যথেষ্ট ভালো ছবি তোলে। কিছুটা ন্যাচারাল ফিলিংস আনার চেষ্টা করে , তবে মুহূর্তেই ভ্যাপসা হয়ে যায়।
ফোনের ডিসপ্লেঃ
এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৫ ইঞ্চি একটি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে ।রেজুলেশন ফুল এইচডি। এর পিপিআই ডেনসিটি ৪০৫। প্রটেকশন শিল্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গোরিলা থ্রি ।কালার এভারেজ লেভেলের, তবে মাল্টিটাস্কিং থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষেত্রে এক ধরনের স্মুথনেস পাবেন ।যা সত্যি অসাধারণ!
এবার কথা বলা যাক ফোনটির স্টোরেজ এবং প্রসেসর নিয়ে:
এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮০০ ইউ। মূলত নতুন একটি প্রসেসর । অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড টেন গ্লোবাল মার্কেটে এই ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছে ৬/৬৪ ও ৪/২৪ এই দুই ভ্যারিয়েন্টে । যারা কম বাজেটের মধ্যে একটি গেমিং প্রসেসর সম্পন্ন ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য এটি হতে চলেছে একটি পারফেক্ট চয়েস ।
কেননা গেমটিতে পাবজি সহ সমগোত্রীয় যেকোনো ধরনের গেম খেলতে বিন্দুমাত্র কোন ধরনের ল্যাগিং এর দেখা পাওয়া যাবে না। ৫ ঘন্টা খেলার পরেও ফোন বিন্দুমাত্র গরম হয়নি।
এবার কথা বলা যাক ফোনের ব্যাটারি নিয়ে
ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০০ এম এ এইচ এর একটি ইউজ ব্যাটারি একটি হিউজ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে বেশ অনেক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন সাধারণত হেভি ইউজার ক্ষেত্রে এক দিন অব্দি ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম এই স্মার্টফোনটি রয়েছে 30 ওয়াটের একটি চার্জার যেটি দিয়ে ফ োন চার্জ করতে সময় সময় নেয় প্রায় ১ ঘন্টা !