সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে ধোকা দেওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল ফেক অ্যাকাউন্ট। যার মাধ্যমে চাইলে মুখোশ ধারণ করে ঘটনা সম্ভব হাজারটি অপরাধ। মুখোশধারী এই মানুষগুলো বাস্তবের অপরাধ জগতের মানুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ।
অবশ্য অনেকে তাদের নিজেদের প্রাইভেসি গোপন করার জন্য এটিকে ব্যবহার করে থাকে। তবে ব্যাপারটি তখনই নেতিবাচক রূপ ধারণ করে, যখন তারা প্রতিনিয়ত মানুষকে বিভিন্নভাবে বুলিং করে।
যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হ্যারাসমেন্টের শিকার হচ্ছে অনেক তরুণ-তরুণী ।বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচরণকারী কিশোরীরাই এই সাইবার প্রয়োগের মাধ্যমে বেশি শিকার হয়।
বাস্তব জগতে যখন কাউকে ইভটিজিং করা হয় তখন তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার টা খুব সহজ। কমসে কম সকল মানুষ একত্রে মিলিত হয়ে সেই কালপ্রিট তাকে বের করতে সক্ষম হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই কুলাংগারকে তুলনামূলক একটু কষ্ট সাধ্য ।
তবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মতে , “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কিছুই ফেক নয় ।যা কিছুই ঘটুক না কেন সবকিছু একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে যায়। এবং সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ট্র্যাক করে খুব সহজে কালপ্রিট কে খুঁজে বের করা সম্ভব।”
আসলেই তাই! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কিছুই ফেক নয়।
এ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তায় নিলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো ধরনের অপরাধ দমন করা সম্ভব।
আপনি যতই নিজের পরিচয় গোপন রাখুন না কেন এক পর্যায়ে সবকিছু বেরিয়ে আসবে সাইবার নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে ।
সুতরাং যদি কেউ এই ধরনের ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে কোন ধরনের সাইবার বুলিং এর শিকার হন তাহলে সেই ক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সাথে।
আপনার সকল ধরনের পরিচয় গোপন রেখে খুব সহজেই কালপ্রিটকে বের করে আনা সম্ভব। নিচে প্রয়োজনীয় কিছু যোগাযোগের ঠিকানা দেয়া হলঃ
কেউ সাইবার ক্রাইম এর শিকার হলে আইসিটি বিভাগের সাইবার ডেস্কে যোগাযোগ করতে পারেন।
যার হেল্পলাইন : 01766678888
এটি সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। এছাড়া নারী বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের হেল্প লাইন ১০৯ এ ফোন করেও এই অপরাধের বিষয়ে ব্যাবস্থা নেয়া যায়।