প্রতিবছর বরাবরের মতো রেডমি বছরের এই সময়টাতে বাজারে তাদের মিড রেঞ্জের ফোন লঞ্চ করে থাকে ।ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরেও। করোনার ক্রান্তিকালে রেডমি লঞ্চ করতে চলেছে নোট সিরিজের নতুন স্মার্টফোন রেডমি নোট ১০ প্রো।
রেডমি তাদের এই ফোনটিতে এক ধরনের ইউনিক ডিজাইন নিয়ে এসেছে। যার ফলে বাজারের অন্যান্য কম্পিটিটরদের তুলনায় ডিজাইনের দিক দিয়ে অনেকাংশে এগিয়ে থাকবে। রেডমির এই ফোনটি ফোনের রেআরে এবং ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস ৫ । যদিও ফোনটি প্লাস্টিক বিল্ডের ।
ফোনের ইউনিক ডিজাইন এর কারণে বরাবরের মতো এগিয়ে থাকবে রেডমি নোট ১০ প্রো ।
এবার কথা বলা যাক ফোনের ডিসপ্লে নিয়েঃ
ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে একটি অ্যামোলেড ডিসপ্লে। যেটি ৬.৬ ইঞ্চির। এবং এর পিপিআই ডেনসিটি ৩৬৫ এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ১২০ হার্জের রিফ্রেশিং প্যানেল। ডিসপ্লের ভেতরে একটি পাঞ্চ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে ।তবে এর আকার এতটাই ছোট যে ব্যবহার করার সময় বোঝাই যাবে না ।
এবারে কথা বলা যাক ফোনটির পারফরম্যান্স সেকশন নিয়েঃ
ফোনের প্রসেসর হিসেবে থাকছে স্ন্যাপড্রাগন ৩৩২ ,যাতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬ জিবি র্যাম, ১২৮ জিবি রোম ব্যবহার করা হয়েছে। ৫২০০ এম এ এইচ ব্যাটারী এবং সাথে থাকছে ৫.১ ভার্সনের ব্লুটুথ।
ফোনটিতে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এটি মূলত একটি অক্টা কোর প্রসেসর ।একটি গেমিং প্রসেসর বলা চলে। সুতরাং পাবজি সহ যে কোন ধরনের গ্রাফিক্স গেম খেলতে বিন্দুমাত্র ল্যাকিং এর দেখা পাওয়া যাবে না। সামান্য একটু হিট হতে পারে। তবে তা মানিয়ে নেওয়ার মতো ।
কথা বলা যাক ব্যাটারি সেকশন নিয়ে
ফোনের বক্সের সাথে দেয়া হয়েছে 33 ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজিক সম্পন্ন একটি চার্জার যেটি দিয়ে 100% সার্চ করতে সময় প্রয়োজন হবে মাত্র 30 মিনিট 5000 বিষয়টি আপনাকে 2 দিন পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম ।
কথা বলা যাক ফোনের ক্যামেরা সেকশন নিয়ে
এই ফোনটির রেয়ারে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াডঃ ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রধান ফোকাস ১০৮ মেগাপিক্সেল এর। সাথে থাকছে একটি আল্ট্রা ওয়াইড এবং ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ও ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেনসর।
তবে ১০৮ মেগাপিক্সেল এর একটি ছবিকে হ্যান্ডেল করার জন্য এই প্রসেসরটি যথেষ্ট কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন থেকেই যায়।
সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বাজারে এটি অফিশিয়ালি লঞ্চ করা হয়েছে ।যার ফলে দাম তুলনামূলক বেড়ে গিয়েছে।
যখন ফোন আনঅফিসিয়াল বিক্রি করা হতো তখন দাম তুলনামূলক কম ছিল।
বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টে ২৬ থেকে ৩০ হাজার টাকা বাজেটের ভিতর পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত ফোন !