সম্প্রতি বাজারে আইপ্যাড প্রো উন্মুক্ত করেছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে নতুন এ আইপ্যাডে এমওয়ান চিপ, নতুন ডিসপ্লে এবং দুই টেরাবাইট স্টোরেজ সাড়া জাগিয়েছে। তবে সবকিছুর শীর্ষে রয়েছে এর র্যাম। অ্যাপলের আইপ্যাড প্রোর ৮ জিবি ও ১৬ জিবি র্যামের দুটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। যে কারণে প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, এবার হয়তো ল্যাপটপের বাজারে ধস নামতে যাচ্ছে। খবর গ্যাজেটস নাউ।
এখন আপনার মনে হতে পারে এটা এমন কি বড় বিষয় যেটা নিয়ে এত শোরগোল। মূলত প্রথম থেকেই অ্যাপল কখনই তাদের আইফোন বা আইপ্যাডের র্যাম ক্যাপাসিটি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করত না। এখন পর্যন্ত অনেক আইপ্যাড আর আইফোন বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল। কিন্তু আইম্যাক এবং ম্যাকবুক ছাড়া কোনো ডিভাইসের র্যামসম্পর্কে কোনো তথ্যই জানতে পারেননি ব্যবহারকারীরা।
যারা ফোনের রিভিউ তৈরি করেন, তাদের তথ্যের জন্য ব্যবহারকারীদের অপেক্ষা করতে হতো। ধরুন আইফোন টুয়েলভ প্রোতে কত জিবি র্যাম রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করলেও অ্যাপল আপনাকে জানায়নি। তৃতীয় প্রতিষ্ঠান আইফিক্সিট জানায়, এতে ৬ জিবি র্যাম রয়েছে।
নতুন আইপ্যাড প্রোর জন্য কেন অ্যাপলের এ পরিবর্তন? ২০১৮ সালে যখন অ্যাপল তাদের প্রথম আইপ্যাড বাজারে ছেড়েছিল, তখন অনেকেই বলাবলি করছিলেন যে এটা ম্যাকবুকের বিকল্প না হয়ে কীভাবে একটা ল্যাপটপের বিকল্প হয়।
অ্যাপল প্রায় সময়েই বলে আসত যে তাদের আইপ্যাড যেকোনো ট্যাবলেটের চেয়ে শক্তিশালী। কিন্তু এটি যেকোনো উইন্ডোজ পিসিকে পেছনে ফেলতে সক্ষম সে ব্যাপারে কিছু বলেনি।
নতুন আইপ্যাডে ম্যাকবুকের প্রসেসর
বাজারে আইপ্যাড প্রো ছাড়ার মাধ্যমে চমকের সৃষ্টি করেছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। যার সব থেকে বড় নাটকীয় অংশ হচ্ছে এতে এমওয়ান চিপের ব্যবহার। অ্যাপলের ম্যাকবুক এয়ার, ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাক মিনিতেও এ একই প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে অ্যাপল তাদের নতুন আইপ্যাডকে শুধু ল্যাপটপের বিকল্পই বলছে না, সেই সঙ্গে এটিকে ম্যাকবুকের মতো শক্তিশালী ডিভাইসে পরিণত করেছে। সেই সঙ্গে এখানে র্যামের পরিমাণের বিষয়ও উঠে আসে। আইপ্যাড প্রো ২০২০ ভার্সনে ৬ জিবি র্যাম ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে এসে তা বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ১৬ জিবি র্যামের আইপ্যাড শুধু এক টেরাবাইট ও দুই টেরাবাইট স্টোরেজ সুবিধার সঙ্গে পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুটি ভ্যারিয়েন্টের দাম আকাশচুম্বী হবে।
আইপ্যাডের জন্য ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জুনের ৭ তারিখ অ্যাপল তাদের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স করবে। সেখানেই অ্যাপল তাদের নতুন আইপ্যাডওএসের উন্মোচন করবে। অ্যাপলের আইপ্যাডওএস খুবই কার্যকর একটি অপারেটিং সিস্টেম। তবে কিছু সুবিধা কমিয়ে যখন আইপ্যাড নির্মাণের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়, তখন সেটি ম্যাকবুকের বিকল্প হিসেবেই কাজ করে। হার্ডওয়্যারের দিক থেকে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড প্রোকে বাজারে থাকা ভালো মানের ল্যাপটপের মতোই শক্তিশালী ও টেকসই করে নির্মাণ করেছে। এখন সফটওয়্যারের সঙ্গে হার্ডওয়্যারের সামঞ্জস্য বিধান করাই অ্যাপলের মূল চ্যালেঞ্জ বলেই অনুমান করছেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা।