বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন নির্মাতার খেতাব ফের স্যামাংয়ের দখলে গিয়েছে। গবেষণা বলছে, বছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বে প্রতি পাঁচটি বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের একটি ছিল স্যাসসাংয়ের।
চীনের শাওমি তার ইতিহাসে বিক্রির দিক থেকে সবচেয়ে ভালো প্রান্তিক পার করেছে এ বছরই। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি প্রায় শতকরা ৬২ ভাগ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। স্যামসাং ও অ্যাপলের পরই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাওমি।
কোভিড মহামারী অনেক দেশেই, বিশেষ করে চীনে, নিয়ন্ত্রণে আসার পর অর্থনীতি সচল হওয়ার ফলে বিশ্বে স্মার্টফোন বিক্রি গড়ে শতকরা ২৭ ভাগ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ক্যানালিস।
গেল তিন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং সাত কোটি ৬৫ লাখ ফোন বিক্রি করেছে। বাজারে সেই হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির দখল শতকরা ২২ ভাগ। প্রতিষ্ঠানটির মোবাইল ফোন ব্যাবসা শতকরা ৬৬ ভাগ বেড়েছে এই সময়ে। গ্যালক্সি এস ২১ ফোন সিরিজটি এতে ভালোই ভূমিকা রেখেছে।
ক্যানালিসের হিসাবে একই সময়ে অ্যাপলের বিক্রি হওয়া ফোনের সংখ্যা পাঁচ কোটি ২৪ লাখ। গত ডিসেম্বরেই ৫জি আইফোন ১২ এর মাধ্যমে চীনা ক্রেতাদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছিল অ্যাপল। সেই ধারাবাহিকতা চলেছে এই প্রান্তিকেও। শতকরা ১৫ ভাগ বাজারের দখল ছিল অ্যাপলের।
গত বছর কোভিড-১৯ মহামারীতে স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছে। লোকজন বাসাতেই থেকেছে এবং বাসা থেকে কাজ করার কারণে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের মতো ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক যোগাযোগ সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে এবং সেই ধাক্কা গিয়ে লেগেছে অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরির বেলায়। এর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য যন্ত্র।
এ বিষয়ে বিশ্লেষক বেন স্ট্যান্টন বলেন, “খুব দ্রুতই কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ, বিশেষ করে চিপসেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে আসন্ন মাসগুলোয় স্মার্টফোনের উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।”
সেই সুর মিলিয়েই অ্যাপল বলছে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মাইক্রোচিপ সঙ্কটের কারণে অ্যাপলের আয় তিন থেকে চার বিলিয়ন ডলার কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে আইপ্যাড এবং ম্যাকবুকের বেলায়।