পৃথিবীর দিকে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে মহাকাশে পাঠানো চীনা রকেটের ভেতরের একটি বড় অংশ। এটা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে আছড়ে পড়তে পারে। ১০০ ফুট লম্বা ও ২১ টন ওজনের ওই অংশ সাগরে বা নির্জনে না পড়ে যদি জনবসতির কোনো স্থানে পড়ে তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীনের তিয়ানহে স্পেস স্টেশনের মডিউল মহাকাশে বহন করে নিয়ে যায় রকেট লং মার্চ ৫বি রকেট। এরপর স্পেস স্টেশনের মডিউলকে কক্ষপথে স্থাপনের পর রকেটের নিয়ন্ত্রণ হারায় গ্রাউন্ড স্টেশন। এটি এখন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে। এর মধ্যে থাকা ১০০ ফুট লম্বা (৩০ মিটার) একটি অংশ রকেট থেকে আলাদা হয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। এটি জনবসতি কোথাও আছড়ে পড়লে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স সেন্টারের বিশেষজ্ঞ জনাথন ম্যাকডোয়েল বলেছেন, ‘পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক নয়। চীন এর আগেরবার যখন ‘লং মার্চ ৫বি রকেট’ উৎক্ষেপণ করেছিল তখনও কিছু বড় লম্বা ধাতব অংশ পড়ে আইভরি কোস্টে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে এর বেশিরভাগ অংশই জ্বলে গিয়েছিল। তবুও প্রচুর ধাতব টুকরো পৃথিবীতে এসে পড়েছিল। আমরা খুব ভাগ্যবান যে তখন কেউ হতাহত হয়নি।’
মঙ্গলবার চীনা রকেটের ওই অংশটি প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করছিল। এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। সেদিন পৃথিবী থেকে এটি ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় ছিল। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, রকেট খণ্ডটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছিল। এটি আগামী ১০ মে এর দুই দিন আগে বা পরে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।