আপনি কী একজন শুদ্ধ মানুষ হতে চান? তাহলে পথ চলার ক্ষেত্রে কিছু শুদ্ধাচার মেনে চলুন। আর তা যদি আপনি পারেন, তবে দেখবেন চমৎকার এক জগতে প্রবেশ করেছেন। শুদ্ধ হওয়া বিষয়টি এমন নয় যে এটা আপনা আপনি হয়ে যায়। শুদ্ধ হওয়ার জন্যে আপনাকে এটা চর্চা করতে হবে। এটা অনেকটা ভালো সঙ্গীত শিল্পী বা ক্রীড়াবিদ হয়ে উঠার মতোই। সাফল্যের জন্যে তাদেরকে যেমন চর্চা করতে হয়, শুদ্ধ মানুষ হওয়ার ব্যাাপরেও আপনাকে সেটা করতে হবে।
প্রযুক্তির ব্যবহার দিনে দিনে মানুষকে অনেকটা রোবটিক করে তুলছে। আমরা প্রযুক্তি ছাড়া এখন কিছুই চিন্তা করতে পারি না। তবে প্রযুক্তির উপর পুরোপুরি নির্ভরশিল হওয়া যাবে না। আর এসব কিছু ব্যবহারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আজ আমরা আলোচনা করবো ‘ই-মেইলের ক্ষেত্রে’ কি কি বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে সে সম্পর্কে-
ই-মেইলের ক্ষেত্রে
– ই-মেইল এড্রেস খুলুন সহজবোধ্য এবং ফরমাল শব্দে।
– আপনার ই-মেইল একাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে অন্যের ছবি/ কার্টুন ইমেজ/ প্রাকৃতিক দৃশ্য ব্যবহার করবেন না। ছবি দিতে হলে নিজের স্পষ্ট ছবি ব্যবহার করুন।
– সাবজেক্ট লিখুন যে বিষয়ের ওপর মূল বক্তব্য লিখেছেন বা ফাইল এটাচ/ আপলোড করেছেন তা নিয়ে।
– স্প্যাম/ জাংক/ অচেনা কারো ই-মেইলের জবাব দিতে সতর্ক হোন।
– ভাষার বিকৃতি, ইমোজি, হাল ফ্যাশনের শব্দ পরিহার করুন।
– ইংরেজি/ বাংলা/ অন্য যে ভাষাই ব্যবহার করুন, তা নির্ভুল করতে সচেষ্ট হোন। ভুল বানান ও বাক্য গঠন ব্যক্তিত্বকে ম্লান করে দেয়।
– শুধু প্রাতিষ্ঠানিক নয়, ব্যক্তিগত ই-মেইলের শেষেও নিজ পরিচয় উল্লেখ করুন।
– অফিসের কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার না করাই ভালো।
– কাজ শেষে ই-মেইল একাউন্ট লগ-আউট করুন।
– ফরমাল ই-মেইল করার সময় অপ্রচলিত/ বিশেষ ধরনের শব্দ/ ফন্টে লেখা এবং চ্যাটিং-এ ব্যবহৃত হয় এমন শব্দ বর্জন করুন।
– উৎসবে/ পার্বণে একই মেসেজ গণহারে নয়; শুভেচ্ছা বার্তা প্রত্যেকের জন্যে আলাদাভাবে লেখার সময় ও সুযোগ পেলে তবেই পাঠান।
– গোপনীয় মেইলের ক্ষেত্রে কাকে কতটুকু পাঠাচ্ছেন তা নিশ্চিত হোন এবং সাবজেক্ট লাইনে ‘গোপনীয়’ বা ‘কনফিডেনশিয়াল’ শব্দটির উল্লেখ করুন।