বিশ্বের অনেক গবেষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদসহ অনেককে নিয়ে গবেষণা করে থাকে, তেমনি আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে গবেষণা করবেন তারা।
১৭ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত “সেদিন শেখ হাসিনার হাত ধরে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ” শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ আশা ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন সাড়া বিশ্বে অনুকরণীয়। তিনি বলেন,’জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ভোলার চরকুকরি মুকরি একটি অঞ্চল থেকে। সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন একজন ছেলে থাকলে একজন মেয়ে থাকবে সেই ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা হিসেবে। আজ থেকে ১০ বছর আগে উনার যে ফিলোসফি, বটম অব অ্যাপ্রচ উনি গ্রহণ করেছিলেন আজকের সারা বিশ্ব কিন্তু সেই দর্শনটাকে অনুসরণ করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের এই সাফল্য বিশ্বে একটি অনুকরণীয় মডেলে পরিণত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তরুণপ্রজন্মকে আত্মকর্মসংস্থানের মর্যাদা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সাধারণ মানুষকে উনি ইন্টারনেটে সংযুক্ত করেছেন। দেশে এখন সাড়ে ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ১৫ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে উনি প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। সাড়ে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার আজকের এই তরুণপ্রজন্মকে তিনি পরিচয় দিয়েছেন। আজকের তরুণপ্রজন্ম জননেত্রী শেখহাসিনার একেকজন ডিজিটাল যোদ্ধা হয়ে বাংলাদেশকে শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে মেধা নির্ভর অর্থনীতির ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,’ আজকেই আমরা কিন্তু ২২২৭ ডলার মাথাপিছু আয়ে উন্নীত হয়েছি। এভাবে এই ২২২৭ ডলার করোনাকালে হয়েছে যা আমরা মধ্যম আয়ের দেশের যে টার্গেটগুলো সেগুলো ফুলফিল করে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে আমরা উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০০৮ সালে আমাদের ৫০০ ডলারের কম ছিল, তখন ৪০ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ। জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের যে রূপকল্পটা দিয়েছিলেন, সেই রূপকল্প, ফিলোসফি অব রেভ্যলুশন, শুধুমাত্র ফেলসফি বা ভিশন দিয়েই থেমে থাকেননি। এই গত ১২ বছরে উনি একদিকে যেমন শহর ও গ্রামের দূরত্ব দূর করেছেন, ইন্টারনেটটিকে নিয়ে গেছেন একবারে চর-দুর্গম গ্রাম পর্যন্ত অপরদিকে আমাদের তরুণদের জন্য আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।’
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সাবেক ছাত্রনেতা ও একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।