স্মার্টফোনের প্রতি অ্যাডিকশন নতুন কিছু নয় । বিশেষ করে যখন থেকে ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন ভিডিও গেমের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে ঠিক তখন থেকে স্মার্টফোনের প্রতি অ্যাডিকশন বেড়েছে সাধারণ মানুষের ।
তবে স্মার্টফোন সম্পর্কে কিছু অ্যাডিকশন স্ট্যাটিস্টিক রয়েছে যা জানার পর হয়তো আপনার আক্কেল গুড়ুম হয়ে যাবে!
১. সাধারণত টিনএজারদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে মাত্র এক ঘণ্টা । তবে বিশ্বের ৭১ শতাংশ ছেলে মেয়েরাই প্রতিদিন গড়ে দুই ঘণ্টার অধিক সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে ।
২. অভিভাবকদের দ্বারা পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে , বিশ্বের ৪৭ শতাংশ শিশু স্মার্ট ফোন এডিকশান এ আক্রান্ত হয়েছে । এবং একই সাথে শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ৬১ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী তাদের স্মার্ট ফোনের অপব্যবহার করছে ।
৩. স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে এডাল্ট কনটেন্ট এর ওপর আসক্ত জন্মে গিয়েছে শতকরা ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী । যেটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্মার্ট ফোন এডিকশান স্ট্যাটিস্টিক । এর থেকে পরিত্রান না পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানবজাতি ধ্বংসের মুখে পতিত হবে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকে না ।
৪.স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার ফলে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি পাচ্ছে । সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়সে বড় মানুষদের সাথে সাক্ষাৎকার এর ফলে তাদের ভেতরে সেই সব মানুষের পার্সোনালিটি গড়ে উঠছে ।
৫.স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে ৫১ শতাংশ কিশোর-কিশোরীরা তাদের পরিবারের কাছ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে আসে । তবে এর প্রভাব পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বেশি । তারা মূলত নিজেদের মধ্যে একটি পার্সোনালিটি প্রিন্ট করে এবং স্বাধীনতা চায় ।
৬.অভিভাবকদের দ্বারা পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে আমেরিকার ৬১ শতাংশ কিশোর-কিশোরীরা বিষণ্ণতায় ভোগে যখন তাদের কাছ থেকে স্মার্টফোনটি সরিয়ে নিয়ে দূরে কোন খানে রেখে দেওয়া হয় ।
৭. স্মার্টফোন সম্পর্কে সবচেয়ে ভয়ানক অ্যাডিক্টেড স্ট্যাটিস্টিক টি হল সমগ্র বিশ্বের ২% ছেলে মেয়ে স্মার্টফোন কে কেন্দ্র করে বছর বছর আত্মহত্যা করে । এবং এর পেছনের মূল কারণ হলো স্মার্টফোন গেম। অবসর সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা এর জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত ।
৮.আমেরিকা যে সকল কিশোর-কিশোরীরা তাদের কর্মস্থলে কাজ করে , তাদের ভেতরে ৮১% ওয়ার্কিং আওয়ারে ফোন ব্যবহার করে ।
৯.শুনতে কিছুটা অদ্ভুত লাগতে পারে তবে সত্যিই এই যে আমেরিকার ১২% ছেলেমেয়েরা গোসল করার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ।
১০.অভিভাবকদের দ্বারা পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ১৯ শতাংশ ছেলে মেয়ে খাবার খাওয়ার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে । অবশ্যই এর পেছনে মূলত দায়ী অভিভাবকেরাই !