ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন. কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যের বাণী বাঙালির জাতীয় জীবনের বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্মের সামনে নজরুলকে তুলে ধরতে বেশি বেশি নজরুল চর্চা হওয়া উচিৎ।তিনি এই লক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ কবি নজরুল ইসস্টিটিউটকে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান। নজরুলের আদর্শ বঙ্গবন্ধু ধারণ করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমরা ধারণ করেছি বলেই এই উপমহাদেশে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ২৭ মে রাতে ১২২তম নজরুল জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী,কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুল জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর আহমেদুল বারী বক্তৃতা করেন।
বঙ্গবন্ধুর হাতধরে সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্যের নীতি ও আদর্শের পথ বেয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, গাহি সাম্যের গান কেবল একটি কবিতা নয়, এটি সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রেরণা। জাতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের কথা চিন্তা করলে নজরুলকে ভোলা যাবে না।
কবি কাজী নজরুল কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের বাতিঘর উল্লেখ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ পাট আর ধানের দেশ।শিল্প কারখানা বলতে এখানে কিছু ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার প্রদীপ হিসেবে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের নিরলস বিভিন্ন প্রচেষ্টা তুলে ধরে তিনি বলেন, কাজী নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কী কী বিশেষায়িত বিষয় থাকবে সেই রূপ রেখা নিয়েও আমরা দিনের পর দিন কাজ করেছি।
নজরুলের কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একজন বাঙালি কবির এত ডাইমেনশন থাকতে পারে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. রফিকুল ইসলাম স্যারের ক্লাশে নজরুল আলোচনা শোনে আলোড়িত হই। নজরুলের ভক্ত হয়ে তার সাম্যের সারথী হই। কীর্তন থেকে গজল বাংলা সাহিত্যের কোথায় তার স্পর্শ নেই বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।জাতির পিতা নজরুলের ভক্ত ছিলেন উল্লেখ করে জনাব মোস্তাফা জব্বার সে সময়কার একজন সাংবাদিক হিসেবে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা বনর্ণা করে বলেন, সাম্যের সাধনার মাধ্যমে শোষিত – বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করার জন্য অপশক্তির হাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে জীবন দিতে হয়েছে। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কেউ অনুসরণ করতে না পারে।কিন্তু শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ অপশক্তির হিসেব পাল্টে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। অনুষ্ঠানে বক্তার নজরুলে জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।