দেশি উদ্যোক্তা ও তরুণ প্রযুক্তিকর্মীদের হাতে গড়ে ওঠা ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ ব্যবহারে গ্রাহকদের লাভ সবচেয়ে বেশি। খরচ ও ব্যবহার সুবিধার দিকটি বিবেচনা করলেও ‘নগদ’ এমুহূর্তে দেশের সাধারণ মানুষের সবচেয়ে প্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হয়ে উঠেছে।
বিষয়টিকে সবার সামনে তুলে ধরতে সম্প্রতি ‘দেশি নগদ-এ লাভ বেশি’ শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটরটি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ আরো বেশি বেশি করে অনুধাবন করতে পারবেন ‘নগদ’ ব্যবহারে কীভাবে এবং কতটা লাভ তারা পাচ্ছেন।
একটা সময় ছিল মানুষ তার স্বজনদের কাছে টাকা পাঠাত মানি অর্ডারের মাধ্যমে, তাতে খরচও ছিল বেশ। সময় বদলেছে, এখন চাইলেই মুহূর্তেই কোনো খরচ ছাড়া টাকা পাঠানো যায় দেশের যেকোনো প্রান্তে। টাকা পেয়ে সেটি ক্যাশ-আউট করা যাচ্ছে সর্বনিন্ম খরচে। সময়ের পরিবর্তনে টাকা পাঠানোর বাইরেও যেকোনো আর্থিক সমস্যার সমাধান এখন ‘নগদ’-এ মিলছে।
মোবাইল ব্যালান্স শেষ হয়ে গেছে? তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো জায়গায় সবচেয়ে কম খরচে মোবাইলের বিভিন্ন প্যাকেজ কেনা, অনলাইনে সুবিধাজনক কেনাকাটা থেকে শুরু করে কোনো রকম বাড়তি খরচ ছাড়াই পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেটসহ সকল পরিষেবার বিল দেওয়া যাচ্ছে ‘নগদ’-এ। বীমার প্রিমিয়াম ‘নগদ’-এ জমা দিলে আছে ক্যাশ-ব্যাক। পাশাপাশি যেকোনো ভিসা ও মাস্টার কার্ড থেকে ‘নগদ’ ওয়ালেটে টাকা যুক্ত করা এবং ক্রেডিট কার্ডের বিল ‘নগদ’-এর মাধ্যমে পরিশোধ করলে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাকের সুযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের জীবনযাপন আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় সেবাও এই এক প্ল্যাটফর্মে আনতে কাজ করছে ‘নগদ’।
কোভিড মহামারির সময়ে মানুষের জীবনকে সহজ করতে ‘নগদ’ নিরলসভাবে কাজ করছে। যার ফলে এখন চাইলেই ঘরে বসে যেকোনো জরুরি সেবা নিয়ে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। ‘নগদ’-ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে কোভিড-১৯ টেস্টের ফি দেওয়া যায়। গত এক বছরে প্রায় নয় লাখ মানুষের কোভিড টেস্ট ফি দেওয়া হয়েছে এই পদ্ধতিতে। ফলে একটি একটি করে অসংখ্য পরিবার তাদের সুরক্ষায়ও ‘নগদ’-কে পাশে পাচ্ছেন।
দৈনন্দিন কার্যক্রমকে সহজ করতে সারা দেশের প্রায় ২০ হাজার মার্চেন্টে পেমেন্টের ব্যবস্থা করেছে ‘নগদ’। এছাড়া ‘নগদ’-এর মাধ্যমে সাত শতাধিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে কেনাকাটার বিল দেওয়া যাচ্ছে এবং প্রায় সবটাতেই রয়েছে ক্যাশ-ব্যাকসহ নানান আকর্ষণীয় সুবিধা। অনলাইন কেনাকাটা সুবিধাজনক করতে অসংখ্য ফেসবুক কমার্সে ‘নগদ’-এর লেনদেন জনপ্রিয়।
এর বাইরে দুই শতাধিক ইন্টারনেট কোম্পানির বিল দেওয়া, আড়াইশ’র ওপরে স্কুল-কলেজের টিউশন ফি প্রদান এখন চাইলেই ‘নগদ’-এ প্রদান করা সম্ভব। এতসব লাভের পর সঞ্চয়েও আছে লাভ। সঞ্চয়ে এখন দেশের সবচেয়ে বেশি সাড়ে সাত শতাংশ হারে লাভ দিচ্ছে একমাত্র ‘নগদ’।
অব্যাহতভাবে জনবান্ধব সব সেবা ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্মে তুলে আনার বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের জন্য একটি উপযুক্ত ডিজিটাল জীবন নিশ্চিত করতে কাজ করছি আমরা। একটি সফল ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেটি করতে ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিত করাই হলো একমাত্র উপায়। ডিজিটাল ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ‘নগদ’ বিভিন্ন ধরনের ক্যাশ-ব্যাকসহ আকর্ষণীয় সব অফার দিচ্ছে যা ডিজিটাল জীবপনযাপনে মানুষকে উৎসাহ দিচ্ছে।”
এ ছাড়া ‘নগদ’-এর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গার্মেন্টস কারখানা তাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে। ৩৩টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানও মানুষের অনুদান-সহায়তার ‘নগদ’-এর মাধ্যমেই সংগ্রহ করছে।
লাভের এতসব সেবা যাতে মানুষ সহজে পেতে পারে তার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার জটিলতাও ‘নগদ’ সহজতর করেছে। অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে দেশে প্রথম ইলেক্ট্রনিক কেওয়াইসি’র প্রবর্তণ করার পাশাপাশি এখন যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে খুব সহজেই *১৬৭# ডায়াল করে পিন সেট করলেই সঙ্গে সঙ্গে খুলে যাবে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট। এই পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে সব মিলে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগছে।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ বাণিজ্যিক সেবা শুরু করা ‘নগদ’ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আর জীবনকে সহজ করার সব সেবা চালু করায় মাত্র দুই বছরে আজ ৫ কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।