ভাইবার ব্যবহারকারীদের অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) লেন্সের সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ দিতে স্ন্যাপ ইনকর্পোরেটেড- এর সাথে চুক্তি করেছে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম মেসেজিং এবং ভয়েস-ভিত্তিক কমিউনিকেশন অ্যাপ্লিকেশন রাকুতেন। দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিগগিরই বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য নতুন লেন্স ফিচারগুলো চালু করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যামেরা কিট, ক্রিয়েটিভ কিট এবং বিটমোজি’র মতো স্ন্যাপের ডেভেলপার টুলগুলোর সাহায্যে ভাইবারের অ্যাপটি এআর লেন্সকে সমন্বিত করবে, স্ন্যাপচ্যাটে শেয়ার করার সুবিধা দেবে এবং কাস্টমাইজেবল বিটমোজি অ্যাভাটারও নিয়ে আসবে। এছাড়াও স্ন্যাপ দ্বারা চালিত ভাইবার লেন্সগুলো ভাইবার ব্যবহারকারীদেরকে প্রথমবারের মতো এআর-যুক্ত ভিডিও মেসেজিং ও ছবি উপভোগ করার সুযোগ দেবে। বিভিন্ন অ্যানিম্যাল মাস্ক ও ভাইবার ক্যারেক্টার, আন্ডারওয়াটার লেন্স, সিলি ক্যাট ইন্টার্যাকশন-সহ ত্রিশটি নতুন লেন্স নিয়ে আসতে যাচ্ছে ভাইবার।
প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিমাসে ৫০ থেকে ৭০টি অতিরিক্ত লেন্স নিয়ে আসার, যার ফলে এ বছরের শেষে অন্তত ৩শ’টি লেন্স নিয়ে আসবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোরও সুযোগ থাকবে ভাইবারের নিজেদের লেন্স তৈরি করার। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফেডারেশন (ডব্লিউডব্লিউএফ), এফসি বার্সেলোনা এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতো প্রতিষ্ঠানসমূহ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনে নিজেদের লেন্স চালু নিয়ে আসবে। কাস্টোমাইজ এ লেন্সগুলো ব্যবহারকারীকে ভাইবার প্ল্যাটফর্মে তাদের পছন্দের ব্র্যান্ডগুলোর সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াবে।
এ প্রসঙ্গে স্ন্যাপ ইনকর্পোরেটেড ক্যামেরা প্ল্যাটফর্ম পার্টনারশিপ ডিরেক্টর এলিয়ট সলোমন মন্তব্য করেন, “রাকুতেন ভাইবারের সাথে স্ন্যাপের এই অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই লাভজনক হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভাইবার যেসব অঞ্চলের গ্রাহকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তাদের কাছে আমরা এখন আমাদের অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির পরিসীমা বিস্তৃত করতে পারছি এবং ভাইবার ব্যবহারকারীদের এআর প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেকে আকর্ষণীয় রূপে প্রকাশের সুযোগ তৈরি করছি।”
ভাইবারের সিইও জামেল অ্যাগাউয়া বলেন, “ব্যবহারকারীদের হাতে স্ন্যাপ ক্যামেরা পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ব্যবহারকারীদের হাতে এআর-এর দূর্দান্ত ক্ষমতা তুলে দিতে চাই এবং বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের সাথে যোগাযোগের হাসি-ঠাট্টায় এক নতুন মাত্রা যুক্ত করতে চাই। ভাইবার কেবলমাত্র একটি ম্যাসেজিং অ্যাপ হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি কেবল একের সাথে অন্যকে যুক্তই করে না, বরং এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আনন্দ-বিনোদনময় ও ফলপ্রসূ কন্টেন্টের আদান-প্রদানের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজস্ব কমিউনিটিতে সরব থাকেন।”