বৃহস্পতিবার প্যারিসে জেনারেশন ইকুয়িটি ফোরামের ‘টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ শীর্ষক আয়োজনে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বেইজিং সম্মেলনের ২৫তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমার আগের প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় আজ আমি এই প্রতিশ্রুতি দিতে চাই।”
বক্তব্যের শুরুতেই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার করেছিল।
“দুঃখজনকভাবে সেসব অঙ্গীকার অপূর্ণ থেকে গেছে। বৈশ্বিকভাবে রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের চিত্র উৎসাহব্যাঞ্জক নয়।”
এখন বিশ্বে পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ নারী, শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের তুলনায় ৩১ শতাংশ পয়েন্ট কম।
এসব তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এই পরিস্থিতি বদলাতে আমাদের সাহসী নীতিমালা ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
নারীর ক্ষমতায়ন যে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকার, তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন আইটি খাতে অর্থবহভাবে নারীদের সংযুক্ত করেছে। আমরা আইটি খাতে দক্ষ জনবল এবং উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বিভিন্ন ব্যবহারিক প্রকল্প চালু করেছি।”
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “গত তিন বছরে ৭১ হাজারের বেশি মেয়ে সাইবার সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ পেয়েছে যা সাইবার প্ল্যাটফরমে তাদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।”
এই ফোরামের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।