ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার বা এনইআইআর কার্যক্রমকে যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে একে স্বাগত জানালেও, এ নিয়ে বিটিআরসি-কে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
শনিবার (৩ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক বলেন, এনইআইআর কার্যক্রমের মাধ্যমে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধের মূল দায়িত্ব বিটিআরসি’র, গ্রাহকের নয়। আমাদের দেশের বেশির ভাগ গ্রাহক নিম্নমধ্যবিত্ত। প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের ধারণা কম থাকায় প্রতারক চক্র যাতে তাদেরকে প্রতারিত করতে না পারে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকেই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই, সরকারি রাজস্ব ফাঁকিরোধ ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এনইআইআর কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। কিন্তু আগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের সময় অনেক অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া প্রযুক্তি যত উন্নত হয়, প্রতারকরাও তত স্মার্ট হয়। ডিজিটাল অপরাধের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে। অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রয়-বিপণন বন্ধে বিটিআরসিকে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। যেকোনো ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
টিক্যাব আহ্বায়ক বলেন, গ্রাহকদের বুঝতে হবে তাদের হাতে থাকা হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করে হ্যান্ডসেটটি উদ্ধার বা বন্ধ করে দেওয়া খুবই গুরত্বপূর্ণ। অন্যথায় এ হ্যান্ডসেট দিয়ে ঘটিত যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের দায় গ্রাহকের ওপর বর্তাবে। পাশাপাশি হ্যান্ডসেট ক্রমের সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে হ্যান্ডসেট ক্রয় করতে হবে। হ্যান্ডসেট রেজিস্ট্রেশনকে সহজলভ্য করা বিটিআরসি ও বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের দায়িত্ব। গ্রাহকদেরও এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ কার্যক্রমকে সফল করা গেলে তা দেশকে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির দিকে আরো একধাপ এগিয়ে দেবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পার্শ্ববর্তী দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর আহ্বায়ক বলেন, বর্তমান বিশ্বে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত সহজলভ্য একটি প্রযুক্তি। বিভিন্ন ধরনের জ্যামার ব্যবহার করে খুব সহজেই আমরা নিজেদের ভূখণ্ডে অন্য দেশের নেটওয়ার্ক পাওয়া রোধ করতে পারি। এ ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশাবাদী।