২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বে ৪৮ মেগাপিক্সেল ও তার বেশি রেজল্যুশনের রিয়ার ক্যামেরা সমৃদ্ধ স্মার্টফোনের চাহিদা বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে রফতানীকৃত ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ ফোনে এ বৈশিষ্ট্যের ক্যামেরা ছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আইএএনএস।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের তথ্যানুযায়ী, স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে ১৬ মেগাপিক্সেলের বাজার ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে। ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় যা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এক বিবৃতিতে গবেষণা বিশ্লেষক অ্যালিসিয়া গং বলেন, বর্তমানে সাশ্রয়ী মূল্যের ফোনেও ফাইভজি প্রযুক্তি চলে আসছে। এর ফলে ফোনগুলোর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ও ফ্রন্ট অ্যান্ড সাবসিস্টেম স্থাপনের খরচ ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সাশ্রয়ী ও মাঝারি মূল্যের স্মার্টফোনগুলোর বিল অব ম্যাটারিয়ালসের (বিওএম) দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ক্যামেরার রেজল্যুশন সেভাবে বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্টফোনের প্রাথমিক ক্যামেরা হিসেবে বেশি মেগাপিক্সেলের চাহিদা আরো বাড়বে।
কাউন্টারপয়েন্টের স্মার্টফোন ক্যামেরা ট্র্যাকারের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ১০৮ মেগাপিক্সেল সমৃদ্ধ স্মার্টফোনের বাজারজাত ৩ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। একই সঙ্গে ৩০০ থেকে ৪৯৯ ডলার বা ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার ফোনে ৬৪ মেগাপিক্সেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বাজারে ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সমৃদ্ধ স্মার্টফোনের চাহিদা অস্থায়ীভাবে কমেছে। মূলত হুয়াওয়ের প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেট সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সবকিছু ছাপিয়ে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির আশা বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ক্যামেরার চাহিদা ও বাজারে প্রবৃদ্ধি ফিরে আসবে। কারণ বিশ্বের অনেক স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার পাশাপাশি ভালো মানের ইমেজ সেন্সর ব্যবহার করছে।
ভালো দামের দিক থেকে অন্যান্য সেগমেন্টের দিক থেকে ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সমৃদ্ধ স্মার্টফোন বিক্রি ও সরবরাহের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে।
প্রথম প্রান্তিকে ১০০ থেকে ২০০ ডলার বা ৯ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে ৪৮ ও ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার স্মার্টফোনের শেয়ার ৪৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দুটি রেজল্যুশনই স্মার্টফোন বাজারের মূলে স্থান করে নিয়েছে এবং দীর্ঘদিন এ ডিজাইন অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
অন্যদিকে ২০ থেকে ৪৪ মেগাপিক্সেল বাজার কিছুটা জায়গাজুড়ে অবস্থান করছে। যেখানে ১৬ মেগাপিক্সেলের বাজার ধীরে ধীর কমছে। এদিকে ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে সরবরাহের দিক থেকে ১৩ ও ১২ মেগাপিক্সেল যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৫ ও ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে।
ভালো ছবি তোলার ক্ষেত্রে ফ্রন্ট ক্যামেরায়ও রেজল্যুশনের প্রভাব পড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে ফ্রন্টে ২০ ও তার বেশি মেগাপিক্সেলের বাজার ২০ শতাংশে ফিরে এসেছে এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বাড়বে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।