গত বুধবার নতুন চারটি স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। এ হ্যান্ডসেটগুলো নিয়ে আগ্রহের কমতি না থাকলেও কেউ কেউ মনে করছেন, এগুলো প্রত্যাশা পূরণ করার মতো নয়। তাদের দাবি, এ ফোনগুলো বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে অ্যাপলের ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে স্যামসাং।
সমালোচকদের মতে, স্যামসাংয়ের প্রথম ভুল হলো হ্যান্ডসেটের উচ্চমূল্য। যেসব ফোন বাজারে ছাড়া হয়েছে, সেগুলো বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর ক্রয়সীমার বাইরে বা ক্রেতারা এত বেশি অর্থ ব্যয় করতে রাজি নয়।
যেমন নতুন বাজারে আগে এন্ট্রি লেভেলের ‘গ্যালাক্সি টেন ই’ ফোনের দাম ধরা হয়েছে ৭৪৯ ডলার। এছাড়া গ্যালাক্সি টেন ৮৯৯ ও টেন প্লাস ৯৯৯ ডলারে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। নতুন করে স্টোরেজ বা র্যাম যুক্ত করতে চাইলে খরচও বেড়ে যাবে। সাধারণত ব্যবহারকারীরা এ ধরনের খরচে খুব একটা উৎসাহ বোধ করে না।
স্যামসাংয়ের দ্বিতীয় ভুল হলো, নতুন বাজারে আসা ফোনগুলোয় আগ্রহ উদ্দীপক কোনো ফিচার নেই। সাধারণত ক্রেতারা নতুন ফোনে আরো ভালো ক্যামেরা, ঝকঝকে স্ক্রিন ও দ্রুত ডাটা ট্রান্সফারের সুবিধা চায়। কেউ কেউ আবার ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্বের দিকে জোর দেয়। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এ ফিচারগুলোর উন্নয়ন আপাতত থেমে আছে।
স্যামসাংয়ের নতুন ফোনগুলোয় বর্ণিল ডিসপ্লে, গোপন করা যায় এমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার ও ফোনের পেছনের অংশে রাখলেই ওয়্যারলেস হেডফোনে চার্জিংয়ের সুবিধা যুক্ত আছে। তবে স্যামসাংয়ের অনেক ফোনে প্রায় একই ধরনের সুবিধা আগে থেকেই ছিল।
স্যামসাংয়ের আরেকটি ভুল হলো চীনের দিকে নজর না দেয়া। অথচ দেশটি এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান স্মার্টফোন বাজার। চীনে স্যামস্যাং শীর্ষ পাঁচ ব্র্যান্ডের মধ্যেই নেই।
বাজার বিশেষজ্ঞরা জানান, অ্যাপলের ভুলের কারণে উপকৃত হয়েছে প্রতিযোগী ফোন নির্মাতারা। এখন স্যামসাং তাদের একই সুযোগ দিতে যাচ্ছে। এমনটি ঘটতে থাকলে ভবিষ্যতে স্যামসাং স্মার্টফোন বাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
সূত্র: সিএনবিসি