হুয়াওয়ে ২০২১ সালের প্রথমার্ধে প্রায় ৩০ শতাংশ আয় কমার খবর জানিয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে নিজেদের ফোন ব্যবসার কিছু অংশ বিক্রি করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই পদক্ষেপটি আয় কমায় ভূমিকা রেখেছে।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে এমন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কেনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে হুয়াওয়ের জন্য। প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স শাখার আয় কমেছে ৪৭ শতাংশ। হুয়াওয়ের ফোন ব্যবসা এ শাখার অংশ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদন বলছে, এ প্রান্তিকে আফ্রিকা, চীন, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে হুয়াওয়ে এবং অনার ব্র্যান্ডের বিশাল এক শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়াও ব্যবসায়ে চিপ সংকটের প্রভাব পড়ার ব্যাপারেও জানিয়েছে হুয়াওয়ে। বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তা ডিভাইস প্রধান রিচার্ড ইউ চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমাদের ব্যবসায়ের পরিচালনা এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য বড় মাপের সমস্যা তৈরি করেছে।”
নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ে নিজ ডিভাইসে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দিতে পারছে না। নিজেদের হারমনি ওএস ব্যবহার করছে ডিভাইসে।
শুধু স্মার্টফোন নয়, আয় কমেছে হুয়াওয়ে টেলিকম যন্ত্রাংশ ব্যবসায়েরও। চীনে ৫জি স্থাপনের কাজ ধীরগতিতে হওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন এক হুয়াওয়ে মুখপাত্র। তবে, যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে নিজ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর উপর হুয়াওয়েকে বাদ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা স্বত্ত্বেও চীনের বাইরে এ খাতে হুয়াওয়ের বিক্রি বেড়েছে।